স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড ছিল ৩২ সদস্যের। সেই স্কোয়াডে ছিলেন না সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এনামুল হক বিজয়। অথচ কী ভাগ্য তার! সতীর্থ এক খেলোয়াড়ের চোটে প্রাথমিক স্কোয়াডে না থেকেও এখন মূল দলের সারথি তিনি।
যে নির্বাচকেরা এক রকম ছোড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, লিটন দাসের চোটে সেই নির্বাচকরাই সেরা বিকল্প হিসেবে বেছে নিলেন বিজয়কে। যে কোনো টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়রা চোটে পড়তেই পারেন। এমন হলে ব্যাক আপ বা প্রাথমিক স্কোয়াডের খেলোয়াড়রা বিকল্প হিসেবে সবার আগে ভাবনায় আসার কথা। বিজয় যেহেতু প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন না, এবারের এশিয়া কাপের জন্য কোনোভাবেই আলোচনায় তার নামও ছিল না। এমনকি কারও বিকল্প হিসেবেও নয়।
নির্বাচকরাও কি আসলে তাকে নিয়ে আলাদা ভাবে ভেবেছিলেন? জরুরি প্রয়োজনে বিশ্বকাপের বিকল্প প্রস্তুত রাখার জন্য কয়েকজন ক্রিকেটার আলাদা অনুশীলন করছেন। সেখানেও তো ছিলেন না বিজয়। অথচ সেই বিজয়কেই নির্বাচকেরা দলে ডাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। জ্বরের কারণে লিটন দাস খেলতে পারবেন না এশিয়া কাপ। তার বদলে বুধবার বিজয়কে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তির কথা জানায় বিসিবি। এদিনই শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা বিজয়ের।
বিজয় সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন গত ডিসেম্বরে, চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সিরিজে। এরপর দলে জায়গা হারান। সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তিনি। ১৬ ম্যাচে তিনটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৩৪ রান। এরপরও এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে বিবেচিত হননি বিজয়। তাকে রাখা হয়েছিল বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে।
বিজয়কে দলে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিসিবির বিবৃতিতে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, ‘বিজয় ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের মধ্যে ছিল এবং বাংলাদেশ টাইগার্স প্রোগ্রামে আমরা তাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছিলাম। সে সব সময় আমাদের বিবেচনায় ছিল। যেহেতু লিটন খেলতে পারবে না, আমাদের এমন একজন টপ অর্ডার ব্যাটার দরকার ছিল, যে উইকেটকিপিংও করতে পারবে। বিজয় এ ক্ষেত্রে বিবেচিত হয়েছে।’
অর্থাৎ একজন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের জায়গায় আরেকজন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নিতে চেয়েছেন নির্বাচকেরা। তাই লিটনের জায়গায় বিজয়কে বিবেচনায় নিয়েছেন তারা। যদিও প্রাথমিক স্কোয়াডে টপ অর্ডারে ব্যাট করতে পারা কিপার-ব্যাটসম্যান জাকির হাসান ছিলেন। কিন্তু ৩টি টেস্ট ও ১টি টি-টোয়েন্টি খেলা জাকিরকে বিবেচনায় নেননি নির্বাচকরা। এ ক্ষেত্রে বিজয় ডানহাতি বলেই হয়তো সুযোগ পেয়েছেন। কারণ, এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা অপর দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও তানজিদ হাসান তামিম – দুজনই বাঁ-হাতি।
চোটের কারণে তামিম ইকবাল নেই। এর মধ্যে লিটন দাসের না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য বড় ক্ষতির। কারণ ওপেনিং জুটি তাতে হয়ে পড়ল একেবারেই নড়বড়ে। বিজয়ের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। এখন পর্যন্ত ৪৪ ওয়ানডে খেলে যিনি করেছেন ১২৫৪ রান। নামের পাশে তিনটি সেঞ্চুরির সঙ্গে রয়েছে ৫টি ফিফটি।
৫টি টেস্টের সঙ্গে ২০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন বিজয়।
কিউএনবি/আয়শা/৩০ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৫:০০