আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাষ্ট্রীয় কোষাগার তোশাখানার মালামাল অবৈধভাবে আত্মসাৎ ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিন বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতিতে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে। অর্থাৎ চলতি বছরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না ইমরান খান।
এছাড়া তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানের পদ ও আর ধরে রাখতে পারবেন না ইমরান এমনটাই জানিয়েছেন আইনজীবীরা। দ্য নিউজের এক প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজ। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী জুলফিকার আহমেদ ভুট্টো জানান, অতীতে পিটিআই এর নিজেদের দায়ের করা একটি সাংবিধানিক পিটিশনের রায়ের ভিত্তিতে ইমরানের এই সাজা দলের চেয়ারম্যান হিসেবে তার ভাগ্যকে সিলমোহর করে দিয়েছে।“
তিনি আরও জানান, “দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান হিসেবে তার অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন না ইমরান। পাকিস্তান ফেডারেশনে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের আলোকে পিটিআই চেয়ারম্যান হিসেবে ইমরান খানের মর্যাদা ইতিমধ্যেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেষ হয়ে গেছে।“প্রবীণ এই আইনজীবী জানান, ২০১৮ সালে পানামা পেপারস মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে সংবিধানের ১৮৪(৩) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন তিনি। যেখানে বলা হয়েছিলো আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এমন কোন ব্যক্তি যদি রাজনৈতিক দলের প্রধান হন, তবে তাকে দলের প্রধান থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। যাতে করে দণ্ডপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি রাজনীতিতে ভূমিকা পালন করতে না পারেন এবং দলকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন।
তার আবেদনের ভিত্তিতে সে সময় পিটিআই প্রধান ইমরান খান, পিপিপি এবং জেআইসহ ১৫টি দলও একই সাংবিধানিক পিটিশন দাখিল করেছিল বলে জানান আইনজীবী জুলফিকার আহমেদ ভুট্টো। পরে সে সময় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত জারি করে যে একজন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে রাজনৈতিক দলের প্রধান থাকতে পারবে না। যার কারণে কারাদণ্ড ও সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিষেধাজ্ঞার কারণে আপাতত পিটিআই প্রধান পদে থাকছেন না ইমরান খান। পিটিআই-এর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বর্তমানে দলের নেতৃত্ব দেবেন।
কিউএনবি/আয়শা/৬ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৫:৩৩