শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

ভারসাম্য বজায় রাখুন ব্যক্তিগত ও পেশা জীবনে

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩
  • ৮৪ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : প্রতিযোগিতার এই সময়ে কর্মজীবী মানুষের পেশা ঠিক রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন করাটা যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মব্যস্ততা, দায়িত্ব, পারিবারিক ব্যস্ততা এতসবের মাঝেই ব্যক্তিজীবন আর কর্মজীবন গুলিয়ে ফেলেন অনেকে। এতে করে বহু মানুষ অসুস্থ ও হতাশার জীবন কাটায়।

কিন্তু কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি একটা ব্যাপার। কাজ আর জীবনকে আলাদা করে নয়, বরং এই দুই জীবনের সমন্বয়ে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা তৈরি করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

কয়েকটি উপায়েই কিন্তু কাজ এবং জীবনের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব, চলুন জেনে নেই উপায়গুলো।

১) কাজের গুরুত্ব বুঝতে হবে

কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য রাখতে গেলে আগে যে কোনও কাজের গুরুত্ব বুঝতে হবে। অফিস হোক বা বাড়ি, কোন কাজটি আগে করা প্রয়োজন, তা বুঝতে পারলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

২) কোন সময়ে কী করবেন

২৪ ঘণ্টা কে কী ভাবে কাজে লাগাবেন তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। আগামীকাল কি করবেন তা আগেরদিন রাতেই ঠিক করে রাখুন। প্রতিদিন অনেক কিছু করতে চেয়ে না পারার থেকে নিয়মিত ৩-৫টি কাজের অভ্যাস করা বেশি কার্যকরী। এছাড়া সারা দিনের বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের কাজ করার পরেও পরিবার, বন্ধুবান্ধবকে সময় দেওয়া বা নিজের শখ পূরণ করার সময় করে নিন।

৩) কাজের আগে শরীর

স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং পর্যাপ্ত ঘুম— কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখার মূলমন্ত্র। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, শরীরকে অবহেলা করা চলবে না। প্রতিদিন নিয়মমতো গোসল, খাওয়া দাওয়া করে নিলে মন ও শরীর থাকবে ফ্রেশ ও ফুরফুরে।

৪) সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝতে হবে

দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করতে করতেও বন্ধুবান্ধবের জগৎ তৈরি হয়ে যায়। তবে পরিবার কিন্তু সব কিছুর আগে। সে কথা ভুললে চলবে না। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও কাছের সম্পর্কগুলির যত্ন নিতে হবে।

৫) বাসায় অফিসের কাজ নয়

অনেকেই আছেন অফিসে কাজের পাশাপাশি বাসায় এসেও পরিবারকে সময় না দিয়ে অফিসের কাজ শুরু করেন। এটা ব্যক্তিজীবনের উপর প্রচুর প্রভাব ফেলে। অনেক সময় দেখা যায় কাছের সম্পর্কগুলো খারাপ হতে শুরু করে। তাই একান্তই প্রয়োজন না হলে অফিসের কাজ বাসায় নয়, অফিসেই করুন।

৬) না বলতে শেখা

‘হ্যাঁ’ শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই বলবেন, যে কাজটি আপনার জীবনে কোনো ভ্যালু এড করতে পারে। আর বাকি সব ক্ষেত্রে ‘না’ বলার চেষ্টা করুন। কারণ, সবার জন্যই সময় খুব সীমিত। কোনো কিছুতে ‘না’ করা মানে সেই সময়টা আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছুতে ব্যয় করা।

৭) নিজের জন্য সময় রাখুন

সারাদিন যত কাজই থাকুক না কেন প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য রাখবেন। ওই সময়টুকু আপনার যা করতে মন চায় তাই করবেন। বই পড়তে মন চাইলে বই পড়বেন, লিখতে ইচ্ছা হলে লিখতে বসে যাবেন, বিশ্রাম দরকার হলে বিশ্রাম কিংবা ব্যায়াম, মেডিটেশন অথবা আপনার পছন্দের যেকোনো কিছু করতে পারেন।

কিউএনবি/অনিমা/০১  অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৪:৩৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit