আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রা (৭৪) আগামী ১০ আগস্ট দেশে ফিরছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার (২৬ জুলাই) তার মেয়ে পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা সোশ্যালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডে অপরাধমূলক একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি অনেক দিন ধরে দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছেন। অবশ্য তিনি বারবার বলছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
থাকসিন সিনাওয়াত্রা দুইবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
তার মেয়ে পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা সোশ্যালে তার অফিসিয়াল পেজে লিখেছেন, ‘আমি যা লিখতে যাচ্ছি তা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার বাবা আগামী ১০ আগস্ট ডন মিউং বিমানবন্দরে ফিরে আসছেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘বাবা দেশে ফিরে আসছে ভেবে আমার হৃদয় এবং আমাদের পরিবারের সকলে অভিভূত, খুশি এবং উদ্বিগ্ন। তবে আমার বাবার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, থাকসিন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের সামরিকপন্থী ও রাজতন্ত্রবাদী প্রতিষ্ঠানের জন্য মাথাব্যাথার কারণ। তার প্রত্যাবর্তন দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উদ্দীপ্ত করতে পারে। গত মে মাসের নির্বাচনে জয়লাভের পর সামরিক প্রাধান্য বিশিষ্ট সিনেট মুভ ফরওয়ার্ড দলের (এমএফপি) প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী হতে বাধা দেওয়ায় থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও মে মাসের নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থাকসিন সিনাওয়াত্রা সোশ্যালে বলেছিলেন, তিনি জন্মদিনের আগে দেশে ফিরতে চান। কারণ তিনি ক্রমেই বৃদ্ধ হচ্ছেন। এমন অবস্থায় তিনি তার নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান।
কিউএনবি/অনিমা/২৬ জুলাই ২০২৩,/রাত ১০:৪৮