ডেস্ক নিউজ : ঢাকার ধামরাই উপজেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং। লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎনির্ভর সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান। দিন-রাত সমানতালে চলছে লোডশেডিং। ১ সপ্তাহ ধরে সারা রাত বিদ্যুৎ থাকে না।
যদিও হঠাৎ মাঝেমধ্যে বিদ্যুতের দেখা মিলে তাও আবার থাকে বড়জোড় ১০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট। এ যেন আরও বেশি বিরক্তিকর। বিদ্যুতের এ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে আবাল বৃদ্ধ বণিতা সবাই ছটফট করে রাতদিনজুড়ে ধামরাই উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় দিনের অধিকাংশ সময় ও রাতে থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
এছাড়া ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিদ্যুৎনির্ভর সব শিল্প প্রতিষ্ঠান।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর আওতায় ধনরাই সদর জোনাল, কুশুরা জোনাল অফিস, বালিয়া, কালাপুর ও সুয়াপুর অফিস সূত্র জানায়, বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে তার অর্ধেক বিদ্যুৎও সরবরাহ নেই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ধামরাই উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে স্থানীয় এজেন্ট ব্যাংক, এনজিও অফিস, ফটোকপি ও সাইবার ক্যাফেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে গ্রামীণ জনপদের লোকজন তাদের আর্থিক লেনদেনসহ অতি প্রয়োজনীয় কাজে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ল্যাব বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছেন না।
চৌহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইক প্রতিদিন রাতে চার্জ দেওয়া হয়। এতে অনেক বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।
এদিকে এ বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধির কারণে ব্যাটারিচালিত ফ্যান ক্রয়ে ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ব্যাটারিচালিত চার্জার ফ্যানের বিক্রয় বেড়ে গেছে ব্যাপক হারে।
লোডশেডিংয়ের বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল একজন কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুতের বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় কম থাকায় সারা দেশের মতো ঢাকার ধামরাইয়েও বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে।
কিউএনবি/অনিমা/২২ জুলাই ২০২৩,/রাত ১১:২৬