পাকিস্তান ট্রিবিউন জানাচ্ছে, শুধু আইএমএফ নয়, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো মিত্র দেশগুলোর সহায়তায় দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৮৭৩ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানের আমদানি ক্ষমতা দুই মাসে উন্নীত হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৮৭৬ কোটি মার্কিন ডলার। তারপর থেকে রিজার্ভ ক্রমেই কমে আসছিল।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে প্রায় ৪২০ কোটি মার্কিন ডলারের আর্থিক সহায়তা পেয়েছে পাকিস্তান। গত বছর দেশটিতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছিল ২৫ শতাংশ। ভারসাম্য বজায় রাখতে শেহবাজ শরীফের সরকার রপ্তানি প্রায় ১৩ শতাংশ কমিয়ে দেয়। অপরদিকে পাকিস্তানকে ৬০ কোটি ডলার বাণিজ্যিক ঋণ দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক।
এই নতুন অর্থ সহায়তা এবং স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখায় ৎপাকিস্তানের অর্থনীতি ধীরে হলেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আইএমএফের আর্থিক সাহায্যে পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়া এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে আগামী মাসেই শেষ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের মেয়াদ। তার আগে এই সহায়তা তার সরকারকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।