আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত কয়েক বছর ধরে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে লেবানন। দেশকে এই সংকটের মধ্যে ফেলে গত বছরের (২০২২) অক্টোবরে পদত্যাগ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন।
মিশেল আউনের জায়গায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চেষ্টা করছে দেশটির আইনপ্রণেতারা। তবে রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে সেই চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। বুধবারই (১৪ জুন) পার্লামেন্টে বিশেষ এক অধিবেশনে বসেন আইনপ্রণেতারা। কিন্তু মতবিরোধের জেরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সাবেক অর্থমন্ত্রী জিহাদ আজউর এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সিনিয়র কর্মকর্তা ও মারাদা পার্টির নেতা সুলেমান ফ্রাঞ্জিহের মধ্যে। মূলত শিয়া ধর্মীয় নেতা হাসান নাসরুল্লাহর নেতৃত্বাধীন হিজবুল্লাহ জোট ওয়াকআইট করায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ভেস্তে যায়। যেমনটা এর আগে আরও ১১ বার গেছে।
হিজবুল্লাহ বলছে, তারা কোনোভাবেই বিরোধী দলীয় কোনো প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নেবে না। হিজবুল্লাহর দাবি, তাদের প্রার্থী সুলেমান ফ্রাঞ্জিহকেই প্রেসিডেন্ট করতে হবে। তবে দলটির এমন কঠোর অবস্থানের সমালোচনাও হচ্ছে।
অন্য দলগুলো বলছে, হিজবুল্লাহ জোর করেই তাদের প্রার্থী চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। কারণ সাংবিধানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদটি একজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর জন্য সংরক্ষিত। ফলে সংসদের প্রধান খ্রিস্টান দলগুলো জিহাদ আজউরকে সমর্থন দিয়েছে।
নতুন নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় লেবাননের সংসদে প্রথম দফার ভোটে সর্বোচ্চ ১২৮ জন আইনপ্রণেতা বা দুই-তৃতীয়াংশের মধ্যে ৮৬ জনের সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু এদিন ১৮ জন আইনপ্রণেতা খালি ব্যালট জমা দেন। ফলে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হন জিহাদ আজউর।
অন্যদিকে হিজবুল্লাহ জোট অধিবেশন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় এবং দ্বিতীয় দফা ভোটে বাধা দেয়। প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সংসদে শুধুমাত্র ৬৫ ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। ১৯৭৫-১৯৯০-এর গৃহযুদ্ধের পর থেকে লেবাননে প্রেসিডেন্ট পদটি বেশ কয়েকবার খালি হয়েছে। কিন্তু এবারের শূন্যতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। সরকার কাজ করছে তত্ত্বাবধায়ক ক্ষমতাবলে।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ জুন ২০২৩,/রাত ১১:৩৪