ডেস্ক নিউজ : বিয়ের সব আয়োজন শেষ। বিয়ে উপলক্ষে বাড়িভর্তি আত্মীয়স্বজনরাও। আনন্দ-উৎসব চলছে বাড়িতে। শনিবার রাতে গায়ে হলুদ হওয়ার কথা ছিল। বর সেজে রবিবার (১১ জুন) দুপুরে বউ আনতে যাওয়ার কথা আব্দুর রহিমের (৩০)। কিন্তু এক নিমিষে তছনছ হয়ে গেছে সব আয়োজন। শনিবার দুপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন তিনি। বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগেই মৃত্যু হলো তার।
নিহত রহিম মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘড়গাঁও গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, একই উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের নয়াটিলা গ্রামের মৃত রইছ আলীর মেয়ে ঝর্ণা আক্তারের (১৮) সাথে কিছুদিন আগে আব্দুর রহিমের বিয়ে ঠিক হয়। রবিবার তাদের বিয়ে হওয়ার কথা। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের জন্য বাড়িতে আলোকসজ্জার বাতি টানানো হয়েছে। শনিবার দুপুর বৃষ্টিতে ভিজে খালি পায়ে আলোকসজ্জার এক টুকরো তার ঝুলতে দেখে এটি সরাতে যান রহিম।
একপর্যায়ে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বিষয়টি দেখে রহিমের খালাতো ভাই দিপু মিয়া তাকে তুলতে গেলে তিনিও বিদ্যুতের ঝটকায় পড়ে যান। দিপু বুঝতে পেরে বিদ্যুৎ অপরিবাহী বস্তু দিয়ে আঘাত করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে চিৎকার করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের খালাতো ভাই দিপু মিয়া বলেন, রহিম ভাইকে পড়ে যেতে দেখে আমি এগিয়ে যাই। স্পর্শ করতেই আমিও ঝটকায় নিচে পড়ে যাই। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায় জানান, রহিম বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন মর্মে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, উৎসবের আমেজে থাকা বাড়িতে এখন চলছে মাতম। আত্মীয়স্বজনরা বিলাপ করছেন। বিয়ের জন্য সাজানো আলোকসজ্জার বাতি ও গেইট খুলছেন ডেকোরেটার্স কর্মীরা।
কিউএনবি/অনিমা/১০ জুন ২০২৩,/রাত ১০: ১০