২. নেতার আনুগত্য করা : ধর্মীয় নেতৃত্ব দানকারী আলেমদের পাশাপাশি রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দানকারীরা যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অনুগত হয়, তবে তাদেরও আনুগত্য করতে হবে।
ডেস্ক নিউজ : ইরবাজ বিন সারিয়া (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের এমন ওয়াজ করলেন যে তাতে অন্তরগুলো ভীত-সন্ত্রস্ত হলো, চক্ষুগুলো অশ্রুসিক্ত হলো। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, মনে হচ্ছে এটি বিদায়ি উপদেশ। তাই আমাদের কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেন, আমি তোমাদের উপদেশ দিচ্ছি তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির এবং নেতার কথা শোনা ও তার আনুগত্য করার, যদিও একজন কৃতদাস তোমাদের নেতৃত্ব দেয়।
২. নেতার আনুগত্য করা : ধর্মীয় নেতৃত্ব দানকারী আলেমদের পাশাপাশি রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দানকারীরা যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অনুগত হয়, তবে তাদেরও আনুগত্য করতে হবে।
৩. বিবাদ-বিভক্তি পরিহার করা : মুসলমানের দায়িত্ব হলো বিবাদ বিভক্তি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ থাকা। বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় দ্বিনি স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইয়ো না।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১০৩)
৪. কোরআন-সুন্নাহর অনুসরণ করা : কেননা হাদিসের ভাষ্যমতে ব্যক্তি যতক্ষণ কোরআন ও সুন্নাহর ওপর অটল থাকবে, ততক্ষণ সে সত্যচ্যুত হবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) অন্যত্র বলেন, ‘তোমাদের মাঝে দুটি বিষয় ছেড়ে গেলাম। যত দিন তা আঁকড়ে ধরে রাখবে, তত দিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। তা হলো আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নত।’ (মুয়াত্তায়ে মালিক, হাদিস : ৩)
৫. খোলাফায়ে রাশেদার কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করা : ইসলামের প্রধান চার খলিফা আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন ও রাসুলের আনুগত্যে যে পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন, তা মেনে চলা মুসলমানের দায়িত্ব। তাদের অনুসৃত পথেই পরবর্তীদের সাফল্য নিহিত।
৬. বিদআত পরিহার করা : বিদআতের খোলস চমৎকার হলেও তার পরিণতি অত্যন্ত ভয়ংকর। কেননা বিদআত মূলত মানুষের নফসানিয়্যাতের (প্রবৃত্তিপূজার) ফসল। আর দ্বিন হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের নাম। তাই সর্বাবস্থায় বিদআত পরিহার করা আবশ্যক। আল্লাহ সবার ঈমান-আমল রক্ষা করুন। আমিন
কিউএনবি/আয়শা/১০ জুন ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:১৪