ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রামে বাজার দরে নেই কোন সুখবর। প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে মাছ, মাংস ও শাকসবজির দাম। পাশাপাশি বেড়েই চলেছে পেঁয়াজসহ অনান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও।ভোক্তারা বলছেন, প্রশাসন কঠোর হলেই বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখা যাবে। রোজায় দাম কমলেও ঈদ উল আজহা সামনে রেখে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বাজারকে অস্থির করে তুলছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, রোজার আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ে। কোরবানির আগে নানা অজুহাতে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ে। এটা নতুন কিছু নয়। সরবরাহ ভাল তবুও কেন পেঁয়াজের বাজার চড়া বিষয়টি তদারকি করা দরকার। এজন্য প্রয়োজন নিয়মিত অভিযান এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। প্রশাসন কঠোর হলেই বাজারে স্থিতিশীলতা নেমে আসবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে প্রায় সব সবজির দাম ৫০-৮০ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজি পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাকরোল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, ঝিঙে ১২০ টাকা, ধুন্দুল ৯০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে বাড়ছে মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি ৩৩০-৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চকবাজারের গরুর মাংসের দোকানে হাড়সহ মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, হাড় ছাড়া ৯৮০ থেকে ১ হাজার টাকায়। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। মাছের বাজারে রুই মাছ ৩০০-৩২০ টাকা, কাতলা ৩২০-৩৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪৫০ টাকা, শিং ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছ কোরাল ৫০০-৭০০ টাকা, পোয়া ২৫০-৩০০ টাকা, মাঝারি আকারের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-১২০০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে এক মাস আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৫ টাকায়। বর্তমানে পাইকারিতেই প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকায়। মসুর ডাল ১২০ থেকে ১৩০, প্রতিকেজি আদা ১৮০, দেশি রসুন ১৫০, প্রতিকেজি খোলা আটা ৬০, প্যাকেট আটা ৬৫ ও প্রতিকেজি চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কিউএনবি/আয়শা/১২ মে ২০২৩,/বিকাল ৫:৩৩