ডেস্ক নিউজ : সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘একাত্তরের গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে যে সব প্রশ্ন তোলা হয় তা অবান্তর। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সারা বাংলাদেশের সাড়ে চার হাজার বধ্যভূমি চিহ্নিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় কিভাবে কাকে হত্যা করা হয়েছে গবেষণায় সেগুলো উঠে এসেছে।’আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গণহত্যার ইতিহাস সংরক্ষণ করলে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ত্রিশ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার ঘটনা অনেকেই সচক্ষে দেখেছন এবং বইয়ে লিখেছেন। এসব ইতিহাস সংরক্ষণ এবং বইগুলো অনুবাদ করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গণহত্যার উপর বিভিন্ন গবেষণা এবং রচিত বই বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে সারা বিশ্বে ছড়িয় দেয়ার জন্য বাংলা একাডেমি কাজ করছে।’
গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষ এবং গবেষকদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণহত্যার ইতিহাস সংরক্ষণ স্বীকৃতির আন্দোলনকে আরো জোড়দার করবে। স্বাধীনতা সময়ে বিরোধিতাকারী দুই শক্তি মার্কিন-চীনা জোটের বিরোধিতা সত্ত্বেও গণহত্যার স্বীকৃতির বিষয়টি শক্ত অবস্থা তৈরি করেছে। গবেষক, প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে নিয়ে শীঘ্রই একটি সভা আয়োজন করে গণহত্যার ইতিহাস সংরক্ষণ এবং স্বীকৃতি আদায়ে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’
২৫ মার্চ কালরাত্রির গণহত্যার শহীদদের স্মরণ করে তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মম হত্যাযজ্ঞ ছিল পাকিস্তানের পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু। ইকবাল হল এবং জগন্নাথ হলে হত্যাযজ্ঞের বিভীষিকা গণহত্যার অকাট্য প্রমাণ। সারা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের দোসরদের এ নির্মমতা উন্মোচন করতে হবে।’
কিউএনবি/আয়শা/২৫ মার্চ ২০২৩,/রাত ৮:২৮