ডেস্ক নিউজ : পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশীদের হজে গমনের খরচ দেড়গুণ নির্ধারণ করে কোন অপশক্তির পরামর্শে আল্লাহর মেহমান হজযাত্রীদের হজে গমনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে তা দেশবাসী জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির আজ বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হজ্জ একটি ফরজ ইবাদাত হবার কারণে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ইচ্ছা থাকে চাকরি বা অন্যান্য সার্ভিস শেষে জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে আল্লাহর ঘরে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেবেন বা দিচ্ছেন। কিন্তু এ বছর সরকার যেভাবে হজযাত্রীদের খরচ নির্ধারণ করেছে তাতে ধর্মপ্রাণ মানুষের ইচ্ছা ও প্রাক নিবন্ধন করা থাকলেও তাদের পক্ষে হজে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রাক নিবন্ধন করেও অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করার কারণে হজে যেতে পারবেন না বলে এমন হজ যাত্রীরা এখন মনঃকষ্টে ভুগছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের হজ যাত্রীদের খরচ যেখানে ৪ লাখ টাকা, আর ডলারের উচ্চ মূল্যে সংকটে থাকার পরও পাকিস্তানের হজ যাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা হলেও বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা মেনে নেবার মতো নয়। ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের খরচ দেড়গুণ বেশি কেন? দেশের জনগণ সরকারের কাছে জানতে চায়।’
‘বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের খরচ ভারত ও পাকিস্তানের ন্যায় সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে’ উল্লেখ করে শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ‘প্রয়োজনে হজ ফ্লাইট খালি না এনে সৌদি প্রবাসীদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে ন্যায্য খরচে দেশে আনা ও নেওয়ার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিতে হবে। হজ্জ যাত্রা যেহেতু ইবাদত তাই এই খরচ এর মধ্যে কোনো ট্যাক্স না রেখে ট্যাক্সমুক্ত রাখতে হবে।’তিনি আরো বলেন, ‘ধর্মীয় ইবাদত হজ, রমজান মাস ও কুরবানীর সময়ে যেভাবে মূল্য বৃদ্ধি হয় তা দুঃখজনক। এ ক্ষেত্রে সরকার আগে থেকে সেনাবাহিনী বা অন্য কোনো সংস্থাকে দায়িত্ব দিলে মার্কেট পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হবে না।’
কিউএনবি/আয়শা/০১ মার্চ ২০২৩,/রাত ৮:২৮