আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার ওপর মার্কিন-ইইউ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ভূমিকম্পের পর সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা খুব একটা পৌঁছায়নি—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন অভিযোগ খুব শোনা যাচ্ছে। অভিযোগটি কতটা সত্য?
মানবিক সাহায্য চেয়ে সম্প্রতি সিরিয়ার এক শিক্ষার্থীর একটি টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে বিমান ট্রাফিকের একটি গ্রাফিক্স দেখান তিনি। সেখানে দেখা যায়, সিরিয়ার আশপাশে বিমান অবতরণ করলেও সিরিয়ায় কোনো বিমান অবতরণ করছে না। এমন আরো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেগুলোতে ‘সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিন’ হ্যাশট্যাগও ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে নিষেধাজ্ঞা মানবিক সহায়তার ওপর কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে দাবি করেছে ইউরোপ। ইইউর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিশনার ইয়ানেস লেনারচিচ বলেছে, ‘আমি নির্দিষ্ট করে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছি, মানবিক সহায়তার ওপর নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রভাব নেই।’
জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তরও এ বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দয়া করে যারা এমন কঠিন সময়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টায় এমন বক্তব্য ছড়াচ্ছে, তাদের ফাঁদে পা দেবেন না।’তবে এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সরকারবিরোধী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভূমিকম্পের দুই সপ্তাহ পর অল্প কিছু সহায়তা পৌঁছেছে। মানবিক সহায়তা পৌঁছতে এত দেরি হওয়ায় সেসব এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সম্প্রতি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত করে। এতে দুই দেশে ৪৪ হাজার মানুষ মারা যান। এর মধ্যে তিন হাজার ৬০০ জন সিরিয়ার।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় ২০১১ সালে আরব বসন্ত শুরুর পর দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ শক্ত হাতে সরকারবিরোধী আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেন। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার আগেই আসাদের পদত্যাগ দাবি করে। পদত্যাগ না করে উল্টো আরব বসন্তের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোয় পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে সিরিয়া।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
কিউএনবি/আয়শা/২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/রাত ৯:০৮