শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

আসছেন শোলে: ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরো শক্তিশালীর আশা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১০৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিঙ্কেনের বিশেষ কৌশলগত উপদেষ্টা ও দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর (আন্ডার সেক্রেটারি) ডেরেক শোলে দুদিনের সফরে ঢাকা আসছেন মঙ্গলবার। তার এ সফর দুদেশের সম্পর্ককে ‘আরো শক্তিশালী’ করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।

তিনি বলেছেন, এ সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করা। দুই সরকারের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে, সেটাকে আরো শক্তিশালী করা। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এ সংকটে আমরা যে মানবিক সাহায্য দিয়েছি, সেটি সরেজমিনে দেখবেন এবং প্রাধান্য পাবে মানবিক সহায়তার বিষয়টি।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ডেরেক শোলের সফরের আগেই ইউএসএআইডি’র একটি অগ্রবর্তী দল বাংলাদেশে এসেছে। দলটি রোববার কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরে তারা ডেরেক শোলের কর্মসূচীতে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, ডেরেক শোলের এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো থাকছে। পাশাপাশি র্যাব এবং এর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বরাবরের মতো জোর দেওয়া হবে।

ডেরেক শোলে ঢাকা সফরের আগে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে চ্যানেল আইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে যুক্তরাষ্ট্রের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কিত কৌশলে (আইপিএস) বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে ভাবার কারণে উচ্চ পর্যায়ের এসব সফর হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আগামী দশকগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ এবং সেখানে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে বাংলাদেশ। সে কারণে উচ্চপর্যায়ের সফরকারীদের আমরা ঘন ঘন দেখছি। সামনের দিনগুলোতে আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পকর্কে আরো বড় পরিসরে দেখতে চাই।

বাংলাদেশে অবাধ ও নিরেপক্ষ নির্বাচন দেখার আশার করার কথা জানিয়ে ডেরেক শোলে বলেন, আমরা স্বীকার করি যে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রও নিখুঁত নয়, তবে আমরা নিজেদের আরো ভালো এবং উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ কারণে আমরা যখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, অবাধ ও নিরেপক্ষ নির্বাচন, নাগরিক সমাজের সমাবেশ ও মতপ্রকাশের বিষয়ে উদ্বেগ তুলে ধরি, তখন সেটা আমরা অংশীদারত্ব ও বন্ধুত্বের জায়গা থেকে করে থাকি।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, যা কেবল খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এই শরণার্থী সংকট বাংলাদেশের ওপর চাপ ফেলছে, তা কমানোর জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্র সাধ্যমত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি বাংলাদেশকে। মানবিক প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি কিছু শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসার কার্যক্রমও রয়েছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:৩৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit