আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবিত উদ্ধার হওয়া ওই নারীর নাম নুরে গুরবাজ। তিনি হাতায়া প্রদেশে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া একটি তিন তলা ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ছিলেন। এদিকে ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় ১৭৭ ঘণ্টা পর একইদিনে হাতায়া প্রদেশে দেরিয়া একদোগান নামের ২৬ বছর বয়সী এক যুবককেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা আনাদুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের আঘাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায়া প্রদেশের একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ওই যুবককে জীবিত উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের কাহারমানমারাস শহরে আঘাত হানা ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দেয় তুরস্ক ও সিরিয়ার বিশাল একটি অংশকে। ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত দুই দেশে ৩৬ হাজার ১৪৩ জন নিহত হয়েছে।
তুরস্কের ইমার্জেন্সি কো-অর্ডিনেশন সেন্টার বা এসএকেওএস জানিয়েছে, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৬৪৩ জনে। এদিকে, সিরিয়ায় নিহত হয়েছে ৪ হাজার ৫৭৪ জন। এর মধ্যে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিহত হয়েছে ৩১৬০ জন বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সরকারের উদ্ধার তৎপরতা বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৬ ফেব্রুয়ারি ৪৫ সেকেন্ডের ভূমিকম্পের পর আরও ২৩ শ’র বেশি আফটার শক হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা। এতে যেসব ভবন এখনও অক্ষত আছে সেগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগে ১৯৩৯ সালে তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:৩৫