আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এদিকে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে হাড় হিম করা ঠান্ডায় কাউকে আর জীবিত উদ্ধারের আশা দেখছেন না উদ্ধারকর্মীরা। তারা বলছেন, এখন যদি কাউকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, তা হবে ‘অলৌকিক’ ঘটনা।
এরপরও ভূমিকম্প আঘাত হানার ছয় দিন পরও ধ্বংসস্তূপের নিচে মিলছে প্রাণের স্পন্দন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মোট ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সবশেষ ভূমিকম্পের ১২৯ ঘণ্টা পর একসঙ্গে পাঁচ সদস্যের পরিবারকে উদ্ধার করা হয়।
তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের নুরদাগ শহরের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে পরিবারটিকে বের করে আনেন উদ্ধারকর্মীরা। এ সময় ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। প্রতিবেদন মতে, উদ্ধারকারীরা প্রথমে মা ও তার কন্যাকে বের করে আনেন। এরপর একে একে বাবা ও তাদের আরও দুই সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরের ধ্বসংস্তূপ থেকে দুই নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ওই দুই নারী ১২২ ঘণ্টা আটকা ছিলেন।
এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, ভূমিকম্পের কারণে সিরিয়ায় নতুন করে ৫৩ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া দুই দেশে প্রায় ৯ লাখ মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন। তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা জরুরি ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।
সিরিয়ার অংশ তেমন মনোযোগ পাচ্ছে না। তবে দেরিতে হলেও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকার। এসব এলাকায় এরইমধ্যে ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
কিউএনবি/আয়শা/১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/রাত ১০:১৫