স্পোর্টস ডেস্ক : টেস্ট ক্রিকেটের আবহটাই যেন গত বছর বদলে দিয়েছে ইংল্যান্ড। ব্রেন্ডন ম্যাককোলামকে কোচ করে আনার এই সংস্করণে অধিনায়ক করা হয়েছে বেন স্টোকসকে। তারপর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে ইংলিশরা। খেলেছেন ১০ টেস্ট, যার নেতৃত্বে নয়টিতেই জয় পেয়েছেন তিনি। ৩৬.২৫ গড়ে করেছেন ৮৭০ রান। আর বল হাতে ৩১.১৯ গড়ে নিয়েছেন ২৬ উইকেট। এমন অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার।
তার হাতে নেতৃত্ব ওঠার পর লাল বলের ক্রিকেটে দারুণ একটি বছর কাটিয়েছে ইংল্যান্ড। চতুর্থ ইনিংসে আগ্রাসী ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি স্টাইলে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতে ফেরার নতুন এক ধরন দেখিয়েছে শ্বেতাঙ্গরা। স্টোকসের অধীনে ইংল্যান্ডের নতুন ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়েছিল ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে। হোয়াইটওয়াশা করে নেতৃত্বের যাত্রা শুরু হয়েছিল তার। পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়, ভারতকে গুড়িয়ে দেওয়া। তারপর পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিক ৩-০ ব্যবধানে হারানো। যা ছিল ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা একটি বছর।
স্টোকস অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরুর আগে ইংল্যান্ড টানা টারটি সিরিজে পরাজিত হয়েছিল। সবশেষ ১৭ টেস্টের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিল তারা। সেই দলের ভার নিয়ে মুহূর্তের মাঝেই বদলে দিয়েছিলেন তিনি। নতুন দিনের ইংল্যান্ডকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ারই যেন স্বীকৃতি পেলেন, আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়ে। যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বদেশী সতীর্থ জনি বেয়ারস্টো, অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার কাগিসো রাবাদা।
কিউএনবি/আয়শা/২৬ জানুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৬:০০