স্পোর্টস ডেস্ক : শুরুতেই শেখ মেহেদি হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমনের বিদায়ে বিপদে পড়ে রংপুর। পাওয়ার প্লের মধ্যে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শোয়েব মালিককে। দলীয় ৫০ পেরোনোর আগে নাঈম শেখ ফিরলে আরও চাপে পড়ে যায় রংপুর। এরপরই সবটুকু অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন অভিজ্ঞ মালিক। শোয়েবের দাপুটে ব্যাটিংয়ে রংপুর ১৮০ রানের টার্গেট দিল চট্টগ্রামকে।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে তার চেয়ে বেশি ফিফটি করেছেন স্রেফ চারজন ব্যাটসম্যান- ডেভিড ওয়ার্নার (৯৩), ক্রিস গেইল (৮৮), বিরাট কোহলি (৮৫) ও অ্যারন ফিঞ্চ (৭৬)। চতুর্থ উইকেটে আজমতউল্লাহ ওমারজাইকে সঙ্গে নিয়ে সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন মালিক। দুজন মিলে স্রেফ ৫৩ বলে যোগ করেন ১০৫ রান। যেখানে মালিকের অবদান ২৯ বলে ৫৯ রান। চাপের সময়টায় দলের ঢাল হওয়ার পাশাপাশি পরে পাল্টা আক্রমণেও দলের রান দ্রুত বাড়ান তিনি।
স্পিনে দক্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে মালিকের। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচেও দেখা গেছে সেটির ছাপ স্পিন বোলিংয়ে করেছেন ৬০ শতাংশ রান। এ দিন তিনি পেয়ে বসেন তাইজুল ইসলামকে। পাঁচ ছক্কার সবকয়টিই ছিল মারেন মালিক এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে।
দশম ওভার শুরুর সময় মালিকের রান ছিল ১১ বলে ৭। ওই ওভারে তাইজুলকে পেয়েই প্রথম হাত খোলেন পাকিস্তানি তারকা। পরপর দুই বল সোজা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন মালিক। তাইজুলের পরের ওভারে ৩টি ছয়ের সঙ্গে এক চারে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ২৫ রান।
১৩তম ওভারে মেহেদি হাসান রানার বলে দৃষ্টিনন্দন কভার ড্রাইভে নিজের সেরা সময়ের কথা মনে করিয়ে দেন মালিক। স্রেফ ২৯ বল খেলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে পূরণ করেন ফিফটি। পঞ্চাশ পেরিয়ে অবশ্য তেমন বাউন্ডারির দেখা পাননি। দুই চারে ১৬ বল থেকে করেন ২৫ রান। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে ফেরানে পারেননি কেউ। মালিককে সঙ্গ দেওয়া ইনিংসে ১ চার ও ৪ ছয়ে ২৪ বলে ৪২ রান করেন ওমরজাই।
জিততে হলে চট্টগ্রামকে করতে হবে ১৮০।
কিউএনবি/আয়শা/২৩ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৮:০৮