বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের দু’টি ইউনিটের কমিটি রবিবার ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির অনুপস্থিতিতেই ওই দু’টি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে না আলোচনা চলছে। ঘোষিত দুই কমিটি হলো বিজয়নগর উপজেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ইউনিট।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রবিউল হোসেন রুবেল বিজয়নগর উপজেলায় উপস্থিত হলেও কর্মী সমাবেশে না গিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত কারণে থাকতে না পারার কথা বলেন।
বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ছাত্রলীগের সম্মেলনেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। মূলত আভ্যন্তরীন দ্বন্দের কারণে তিনি দু’টি আয়োজনে আসেননি বলে একাধিক সূত্র জানায়। দু’টি কর্মী সম্মেলনেই প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। সভাপতির অনুপস্থিতিতে দু’টি কর্মী সমাবেশেই সভাপতিত্ব করেন সহ-সভাপতি সুজন দত্ত। পৌরসভার কর্মী সম্মেলনে সামি আহমেদ নাবিলকে সভাপতি ও শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানী সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিজয়নগর উপজেলায় হৃদয় আহমেদকে আহবায়ক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুজন দত্ত বলেন, ‘দু’টি অনুষ্ঠানেই রবিউল হোসেন রুবেল সভাপতিত্ব করবেন বলে কথা ছিলো। কিন্তু তিনি না আসায় এম.পি মহোদয় আমার মোবাইল ফোন থেকে তার সঙ্গে কথা বলেন। অসুস্থতার কথা বলে তিনি আসতে পারেননি বলে জানান।’জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, ‘আমাদের মাঝে দলীয় আভ্যন্তরীন কোনো দ্ব›দ্ব নেই। সভাপতির সঙ্গে কথা বলেই কর্মী সম্মেলন করা হয়। তবে তিনি আসেননি। তিনি অসুস্থতার কারণে আসেননি বলে জানিয়েছেন।’সভাপতি মো. রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ‘কর্মী সম্মেলনের বিষয়ে আমি জানতাম না। যে কারণে আসিনি। এম.পি মহোদয় আমাকে ফোন করলে বিষয়টি ওনাকে জানিয়েছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুসারে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে কমিটি ঘোষণা করতে হবে।’
কিউএনবি/অনিমা/২৩ জানুয়ারী ২০২৩/দুপুর ১:১২