বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : প্রাণ ফিরেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে। অবকাশকালীন এক মাস ছুটি ও আইনজীবীদের প্রায় দুই সপ্তাহের টানা কর্মবিরতির পর রবিবার থেকে আদালতের সব ধরণের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। দু’টি আদালত বাদে ২১টি আদালতে পেশাগত কাজে গেছেন আইনজীবীরা। বিচার কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়া আদালত হচ্ছে, জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত। তবে অন্যান্য আদালতে বিচারিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় বিচার প্রার্থীদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
এদিকে শনিবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতি সাধারন সভা করে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দুই বিচারককে বদলির আল্টিমেটাম দিয়ে রবিবার থেকে কর্মবিরতি থাকছে না বলে জানানো হয়। দাবি মেনে না নিলে পুনরায় লাগাতার কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হবে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। রবিবার আদালতে আসা হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার খাদিজা বেগম বলেন, ‘নাসিরনগরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে আমার স্বামী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। কয়েকদিন ধরে আদালতের কার্যক্রম চালু না থাকায় জামিন আবেদন করা যাচ্ছিলো না। তবে চালু হওয়ার কথা জেনে আসার পর পরই আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করা গেছে।’
আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান বাবুল জানান, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। তবে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানা না হলে আগের মতো লাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। একটি ভিডিওতে দেখা যায় আইনজীবীরা ওই বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছেন।
এ ঘটনা ও জেলা জজ আদালতের নাজির (বর্তমানে অন্য আদালতে বদলি) মমিমুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারিরা। এ অবস্থায় পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। উচ্চ আদালত দু’দফায় ২৪ আইনজীবীকে তলব করেন।
কিউএনবি/আয়শা/১৫ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৮:৫৫