শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ১২:২১ পূর্বাহ্ন

ইজতেমার অর্থনৈতিক প্রভাব

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১০৬ Time View

ডেস্ক নিউজ : যেসব দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত, তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা। শুধু আল্লাহপ্রেমীদের এই মহাসমাবেশে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশ্বের বহু দেশের মানুষ বাংলাদেশে ছুটে আসে। বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা তাবলিগের অনুসারীদের কাছে বাংলাদেশ বেশ পরিচিত নাম। বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। প্রতিদিন ইজতেমাকে কেন্দ্র করে শুধু টঙ্গী এলাকাতেই লেনদেন হয় প্রায় শত কোটি টাকা।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে অতীতে ইজতেমায় মুসল্লিদের উপস্থিতির সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর ইজতেমায় অবস্থানকারী মুসল্লিরা দাবি করছেন, এবার মুসল্লির সংখ্যা অন্য বছরের তুলনায় বেশি। ইজতেমার নির্ধারিত মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ তাঁবু গেড়েছে সড়কের পাশে। ইজতেমার স্থায়ী টয়লেটের ছাদগুলোতে তিল ধারণের জায়গা নেই। দূর-দুরান্ত থেকে আগত মুসল্লিরা যেখানে কোনো বসার জায়গা পাচ্ছে সেখানেই বসে পড়ছে।

ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা সাধারণত বাজার করেন টঙ্গী ও টঙ্গীর আশপাশের এলাকা থেকে। সেই হিসাবে বলা যায়, এই বিশাল অঙ্কের লেনদেন টঙ্গী এলাকাতেই হয়। শুধু খাবারই নয়, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের পরিবহন খরচ হিসাব করলেও কয়েক শ কোটি টাকায় ঠেকবে। তা ছাড়া দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের সময়ে ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদের মাধ্যমে দেশে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসবে বলেও আশা করা যায়।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘বিদেশ থেকে যারা ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে আসছেন, তারা অবশ্যই বৈদেশিক মুদ্রা নিয়েই আসছেন, এতে করে আমাদের দেশে চলমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকট কিছুটা হলেও কমবে। এখানে আগত প্রতিটি বিদেশি মেহমানই প্রতিদিন ন্যূনতম পাঁচ ডলার হলেও খরচ করবেন, কেনাকাটা করবেন, যা সামগ্রিকভাবে চিন্তা করলে অনেক বড় অঙ্কে দাঁড়াতে পারে।’

মো. রুহুল আমিন আরো বলেন, ‘বিদেশ থেকে আগত মেহমানরা দেশের অনেক পণ্যের সঙ্গেও পরিচিত হয়, যা বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।’ বিদেশি মেহমানদের বাংলাদেশি পণ্যের সঙ্গে পরিচিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত বলে জানান তিনি। নোয়াখালী থেকে ইজতেমায় আগত মুসল্লি নুরুল হক বলেন, ‘আমি ইজতেমা থেকে এবার পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের একটি কম্বল কিনেছি, আমার কিছু কেনাকাটা বাকি আছে।’খুলনা থেকে আগত সাআদ আহমদ বলেন, ‘ইজতেমায় এসেছি কিছু দ্বিনি কথা শোনার জন্য, যেহেতু এখানে অনেক আনকমন জিনিস পাওয়া যায়, প্রিয়জনদেরও কিছু চাহিদা থাকে, তাই শেষ মুহূর্তে ১০-১৫ হাজার টাকার কেনাকাটা করার ইচ্ছা আছে।’সর্বোপরি, বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে ইজতেমাকেন্দ্রিক অর্থনীতি নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ জানুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৪:৪০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit