বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন

আশুগঞ্জে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত-৩০,বাড়ি-ঘর, দোকানপাট ভাংচুর

বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১২৭ Time View
বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে দু’দল গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকালে ও শুক্রবার রাতে উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর-দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের বারঘরিয়া গোষ্ঠীর বাড়িতে ওয়াজ মাহফিল হয়। ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে রাস্তার উপর কিছু ভাসমান দোকানপাট বসে। রাতের বেলা রাস্তা দিয়ে এলাকার জারুর বাড়ির মোঃ রুহুল আমিন সিএনজিচালিত অটোরিকসা নিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকসাটি বারঘরিয়া গোষ্ঠীর একজনের গায়ে লাগে। এনিয়ে কথা কাটাকাটির পর বারঘরিয়া গোষ্ঠীর লোকজন রহুল আমীনকে মারধোর ও অটোরিকসার কাচ ভাংচুর করে।রুহুল আমিন বাড়িতে  গিয়ে বিষয়টি তার বাড়ির লোকজনকে জানালে রুহুল আমিনের গোষ্ঠীর লোকজন রাস্তায় দাড়িয়ে বারঘরিয়া গোষ্ঠির দুটি অটোরিকসা আটক করে।
এদিকে বিষয়টি সমাধানের জন্য দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া তার পরিষদের সদস্য বারঘরিয়া গোষ্ঠির মোঃ মিজান মিয়াকে বাড়িতে ডেকে আনেন। মিজান মেম্বার চেয়ারম্যানের বাড়িতে  গেলে চেয়ারম্যানের সামনেই জারুর গোষ্ঠির লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বারঘরিয়া গোষ্ঠির লোকজন দেশীয় দা-বল্লম নিয়ে জারুর গোষ্ঠির লোকজনের উপর হামলা করে। পরে জারুর গোষ্ঠির লোকজনও পাল্টা হামলা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে রাতের ঘটনার জের ধরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে উভয় গোষ্ঠির লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুইঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষে দুর্গাপুর গ্রামের অন্যান্য গোষ্ঠির লোকজনও  জারুর গোষ্ঠি ও বারঘরিয়ার গোষ্ঠির লোকজনের সাথে যুক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি সদস্য মোঃ মিজান মিয়া বলেন, শুক্রবার রাতে ঘটনা মীমাংসার কথা বলে চেয়ারম্যান আমাকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। তার সামনেই লোকজন আমাকে পিটিয়ে আহত করে।এ ব্যাপারে দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া বলেন, শুক্রবার রাতের ঘটনার জেরে শনিবার সকালে আবারো সংঘর্ষ হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সি বলেন, স্থানীয় সর্দার-মাতব্বর নিয়ে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজাদ রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে আনুমানিক ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়েছে।

কিউএনবি/অনিমা/১৫ জানুয়ারী ২০২৩/সকাল ১১:০৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit