বিক্ষোভে অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের দাবি,বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তুচ্ছ ঘটনায় বেশি শাস্তি দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের। এ কারণে শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার পথে। তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে করছে। শাস্তির আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনায় শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থীকে সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া তিনজন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সতর্ক করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বহিষ্কারসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে নোটিশ জারি করার পর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও তাদের সহপাঠীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। একপর্যায়ে বহিষ্কারাদেশ প্রতিবাদে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিকেল চারটার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ সব ফটক তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে বিকেল পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনের সোনাপুর-চর জব্বর সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয় হয়। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
কিউএনবি/অনিমা/১৩ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ১০:০০