শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন

পার্বত্যমন্ত্রণালয় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
  • Update Time : শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১২৫ Time View
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি : পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়  রাজধানীতে বর্ণাঢ্য উৎসবের মধ্য দিয়ে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানটি শুত্রুবার ২ডিসেম্বর সকাল সাড়ে আটটার দিকে  ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, যুগ্মসচিব আলেয়া আক্তার, যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর বেইলী রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য কমপ্লেক্সকে বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত করা হয়। কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে ফেস্টুন উড্ডয়ন, শান্তির প্রতীক ২৫টি কবুতর অবমুক্ত করা হয়। এরপর কমপ্লেক্স্রের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির  সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তিন পার্বত্য জেলার মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এনডিসি। বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গা, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে প্রথমে দুইটি কাজ করেন, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হওয়ার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রথমত, জিয়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের দ্বার উন্মোচন করেন এবং বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন জেলা হতে বাঙ্গালিদের নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে পুনর্বাসন করেন। পাহাড়ী জনগোষ্ঠী জেনারেল জিয়ার সেই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। ফলে পুনর্বাসিত বাঙ্গালিদের সাথে পাহাড়ীদের এক অবশ্যম্ভাবী বিরোধের সৃষ্টি হয়। এভাবেই কয়েক হাজার উপজাতি পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে উদ্বাস্তু হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আশ্রয় নেয়।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরে একটি গুলিও ফোটানো হয়নি বা কাউকে জীবন বা প্রাণও দিতে হয়নি। খুনের বিনিময়ে খুন নয়, প্রতিশোধ নয়, একটা সুন্দর পরিবেশে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে মন দিয়ে অনুধাবন করেছিলেন, চিহ্নিত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা একটি রাজনৈতিক সমস্যা। একে তিনি রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করেছিলেন।  ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে একটি শান্ত পরিবেশ গড়ে ওঠে ও সাধারণ মানুষের মনে ফিরে আসে স্বস্তি। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে মাঝে মধ্যে যে সন্ত্রাস, চাদাবাজি ও সংঘাত হয় তা আমাদের সুখ দিবে না। তিনি সন্ত্রাস ও চাদাবাজ পরিহার করে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

কিউএনবি/অনিমা/০২ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:২৭

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit