নিজেস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের পূর্বে প্রতিটি থানার পুলিশ নেতা–কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করছে বলে অভিযোগ করেছেন এ্যাড.শাহিন শওকত খালেক। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন কোথাও অকারণে বোমা ফাটাচ্ছে, বোমা রেখে দিচ্ছে। অতঃপর বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে সাজানো মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীরা জানতেও পারছে না, কী কারণে মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।’
আজ সোমবার সকাল ১১.৩০ টা মিনিটে রাজশাহী মহানগর বিএনপির মালোপাড়া কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। আগামী ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিভাগে ‘গায়েবি মামলা ও নেতা–কর্মীদের আটক, পুলিশি হয়রানি, হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা বলেন,পুলিশ যেভাবে বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে যাচ্ছে সেখানে পুলিশ সাক্ষী পুলিশই বাদী। দেশের আইন সবার জন্য সমান। এর জন্য পুলিশকে আইনের আওতায় আসতে হবে। আগামী ৩ ডিসেম্বর জনগণ কোনো বাধাই মানবে না। রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠ জনতার জোয়ারে পরিণত হবে,দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরের ইতিমধ্যে গণমসমাবেশ শেষ হয়েছে। সেসব সমাবেশে সরকারের পক্ষ থেকে নজিরবিহীন বাধা, স্থল ও জলের সব প্রকার যানবাহন বন্ধ করে দেওয়ার পরও বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের রুখতে পারেনি।
রাজশাহীর গণসমাবেশ নিয়েও গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেন তিনি অন্য বিভাগীয় শহরে কোনো প্রকার মামলা হয়নি। সেখানে ব্যাপক পরিমাণে জনসমাবেশ হয়েছিল। সব বিভাগীয় শহরকে ছাড়িয়ে রাজশাহীর গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে। এ জন্য যদি বুক থেকে তাজা রক্ত পিচঢালা পথে ঢেলে দিতে হয়, তাতে নেতা–কর্মীরা রাজি আছেন। সব বাধা উপেক্ষা করে পুরো শহর মানুষে মানুষে ভরে যাবে।
রাজশাহী বিভাগে ইতিমধ্যে শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে এ্যাড.শাহিন শওকত খালেক বলেন, রাজশাহীর গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য যখন তাঁরা বিভাগের ৮ জেলা, ১ মহানগর, ৬৭টি উপজেলা ও থানায় প্রাথমিকভাবে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন, তখনই সরকার নতুন মাত্রার অত্যাচার ও নির্যাতনের ফর্মুলা নিয়ে হাজির হয়েছে।
সরকারের বেআইনি আদেশ পালনে প্রশাসন ও পুলিশ বাধ্য নয় উল্লেখ করে পুলিশের উদ্দেশে এ্যাড.শাহিন শওকত খালেক বলেন ‘অতি উৎসাহী ভূমিকার কারণে গণদুশমনে পরিণত হবেন না।’ দেশের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনসংগত ও সংবিধানসম্মত দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
শাহিন শওকত খালেক আরও বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে প্রশাসন ও পুলিশের অত্যচার–নির্যাতন, ত্রাস এমন এক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, উপজেলা পর্যয়ে বিএনপির কোনো নেতা–কর্মী এলাকায় থাকতে পারছেন না। মানুষের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ পর্যন্ত করতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ বলেন, রাজশাহী বিভাগের ৬৩টি থানার মধ্যে ৪৫-৫০টি থানায় ইতিমধ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। সরকার যত বাধাই দিক রাজশাহীর সমাবেশ হবে সেরা সমাবেশ।
কিউএনবি/আয়শা/২৮ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ১০:৩০