মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ ,নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি : এ যেনো জুয়ার মেলা দিনে-রাতে পালা করে চলে জুয়া খেলা। কিশোর থেকে বৃদ্ধ একেকজন যেনো পাকা জুয়াড়ি। দূর থেকে দেখলে মনে হয় নিছক জুয়া খেলা কিন্তু ভেতরের গল্পটা একেবারেই ভিন্ন। এটি শুধু জুয়া খেলা নয় এই খেলার সাথে জড়িয়ে আছে মাদক, সুদ ও বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড। এসব জুয়া খেলা নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি গ্রুপ দিনের খেলা নিয়ন্ত্রণ করে এক গ্রুপ রাতের খেলা নিয়ন্ত্রণ করে আরেকটি গ্রুপ তবে দিনে ও রাতের খেলায় মাদক সাপ্লাই এবং অর্থ যোগান দেন আরেক গ্রুপ।
দিনের খেলায় মাদক হিসেবে চলে শুধু গাঁজা আর সারারাত জেগে খেলার জন্য রাতের খেলায় চলে ইয়াবা এবং গাঁজা। কোনো খেলোয়াড় খেলায় বসে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হলেও খেলা চালাতে মিলে টাকা এ টাকা দেওয়া হয় চড়া সুদে যেমন এক হাজারে একশত টাকা অতিরিক্ত লাভ ধরে দেয়া হয় টাকা কিন্তু এতো চড়া সুদে টাকা পেতেও জমা রাখতে হয় নিজের মোবাইল ফোন অথবা স্বর্নলংকার । জুয়া খেলার স্পট হিসেবে ব্যবহার হয় নির্জন জায়গা ঝোপঝাড় জুয়াড়ি গ্রুপের পাহারাদারও থাকেন গোয়েন্দা টিমের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন তারা বসে থাকেন নিকটস্থ দোকানে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা অপরিচিত মুখ দেখলেই ফোন চলে যায় জুয়াড়ি গ্রুপের কাছে বিপদ আঁচ করতে পারলেই কেটে পড়েন তারা। চতুর্দিকে মাছের খামার থাকাতে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়ার একাধিক পথ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কিছু দিন পর পর পুলিশ জুয়াড়িদের ধাওয়া দিলে অথবা জুয়াড়ীদের ধরে নিয়ে গেলেও দুই-এক দিনের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে এসে আবার পুনরায় চালিয়ে যাচ্ছেন এসব অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড । এসব অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড স্থায়ী ভাবে বন্ধে আইনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী ।
কিউএনবি/অনিমা/২৪ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সকাল ১০:১৬