মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন

ফেরেশতারা দেখতে কেমন

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২
  • ৯৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : মানুষের প্রতিষ্ঠিত ধারণা হলো, ফেরেশতারা অনিন্দ্যসুন্দর এবং তাদের বিপরীতে শয়তান খুবই কুৎসিত। মানুষ কথায় কথায় বলে, ফেরেশতার মতো সুন্দর এবং শয়তানের মতো কুৎসিত। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে এই বিশ্বাস মানুষের  বদ্ধমূল। পবিত্র কোরআনে মানুষের এই বিশ্বাসের বিবরণ এভাবে এসেছে, ‘যখন তারা তাঁকে (ইউসুফ আ.) দেখল, তখন তারা তার গরিমায় অভিভূত হলো এবং নিজেদের হাত কেটে ফেলল।

তারা বলল, অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্ম্য। এ তো মানুষ নয়, এ তো এক মহিমান্বিত ফেরেশতা। ’

(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৩১)

ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, মানুষ ফেরেশতাদের চোখে না দেখলেও বলে, ‘এ তো ফেরেশতার মতো সুন্দর’। তারা এটা বলে হয়তো তাদের ধারণা অনুসারে। অথবা কোরআন-হাদিসে তাদের পূতঃপবিত্র জীবনের যে বর্ণনা এসেছে তার ভিত্তিতে তারা এমনটি বলে থাকে।

(তাফসিরে কুরতুবি : ৯/১৮৩)

পবিত্র কোরআনে ফেরেশতাদের দেহাবয়ব সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী, প্রজ্ঞাসম্পন্ন (ফেরেশতা)। সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়ে ছিল। ’ (সুরা : নাজম, আয়াত : ৫-৬)

উল্লিখিত আয়াতে ব্যবহৃত ‘জু-মিররাতিন’ শব্দের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যে দেখতে সুন্দর’। কাতাদাহ (রহ.) বলেন, ‘দীর্ঘ ও সুন্দর দেহের অধিকারী’।

(তাফসিরে ইবনে কাসির)

আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, ‘মিররা’ শব্দ দ্বারা বিপদ-আপদ, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ত্রুটি থেকে সুস্থ ও নিরাপদ থাকাকে বোঝায়, যা ব্যক্তির শারীরিক গঠনের সৌম্য ও সৌন্দর্যকে আবশ্যক করে। (ইগাসাতুল লাহফান : ২/১২৯)

উল্লিখিত ব্যাখ্যা দ্বারা বোঝা যায়, ফেরেশতারা সাধারণভাবে সৌন্দর্যের অধিকারী। তাদের আল্লাহ সুঠাম ও কান্তিময় অবয়বে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু কোরআন-হাদিসের বর্ণনায় এটাও এসেছে যে কোনো কোনো ফেরেশতাকে আল্লাহ ভীতিপ্রদ অবয়বে গঠন করেছেন। এমন চেহারাই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সহায়ক। যেমন—জাহান্নামের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করো আগুন থেকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতারা, যারা অমান্য করে না তা, যা আল্লাহ তাদের আদেশ করেন। আর তারা যা করতে আদিষ্ট হয়, তা-ই করে। ’

(সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৬)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো অবিশ্বাসী বান্দা পার্থিব জীবন শেষ করে পরকালীন জীবনের মুখোমুখি হয়, তখন তার কাছে কালো চেহারাবিশিষ্ট ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়। ’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ১৬৩০)

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২০ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৩৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit