যাত্রা
——-
পৃথিবীতে আমরা সবাই একটি নিজস্ব টাইম মেশিন নিয়ে আসি। যে শিশু আজ জন্ম নিলো তারও একটা টাইম মেশিন আছে। তবে এই টাইম মেশিনের নিয়ন্ত্রণটা আমাদের হাতে নাই। ফলে কবে বা কখন মেশিন বন্ধ হবে সেই তথ্য কেউ জানিনা। না জানলেও আমরা বেচেঁ থাকার আশাও ফুরাই না।
প্রতি মুহুর্তেই আমরা “আরেকটু ভালো” করে বাচঁতে চাই। জগতের মাঝেও নিজের আরেকটা জগত তৈরী করি। ‘অর্থবহ’ করার ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞায় নিজেকে বহন করে এগিয়ে নেই। একেকজন একেকরকম ভাবে জীবনের অর্থ খোজে।
কারো কারো কাছে জীবন অর্থ অবশ্য ব্যতিক্রম হয়। কেটে যাচ্ছে..ভেসে যাচ্ছে.. অনেকটা সজীব পরজীবির মতোন। যদিও ব্যতিক্রম কখনো উদাহরন হতে পারে না। ব্যতিক্রম হচ্ছে বাংলা ব্যকরণের নিপাতনেসিদ্ধ।
কেউ চাকরি বাকরি করে সহজ স্বচ্ছ জীবন পাবার আশায় অর্থ খোজে, কেউ সুযোগ পেলেই জমিজমা ক্রয় করার মাঝেই জীবনের অর্থ খোজে, কেউবা সারাদিন ঘর গুছানো আর রান্নার মাঝে ডুবে থাকে, কেউ পরকালে শান্তিতে থাকার লক্ষ্যে দুনিয়াতে ইবাদত আর প্রার্থনা করে জীবনকে নিজের মতো করে অর্থবহ করতে থাকে, কেউ প্রচুর ব্যবসা বানিজ্য করে কেবল অর্থ উপার্জন করার মাঝেও অর্থ খোজে, কেউ আবার উপরের সবগুলা মিলিয়ে একটা প্যকেজ ফরমেট নিয়ে চলতে চায়..।
তবে জগতে সবার জীবন অর্থ থাকুক অব্যাহত ও অ-ক্ষতিকর। পরিবার পরিজন বন্ধু প্রতেবেশী যারা যেথায় আছে প্রতিটি মানুষ থাকুক নিজ ভুবনে স্বাচ্ছন্দ্য ও আত্মপ্রত্যয়ী।
লেখিকাঃ ফায়াজুন্নেসা চৌধুরী। প্রভাষক, ডিপার্টমেন্ট অফ সিএসই,ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। নিয়মিত লেখালেখি করেন। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর লেখা বিশেষ আবেদন সৃষ্টি করে। এই লেখাটি তাঁর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে অনুমতি স্বাপেক্ষে সংগৃহিত।
কিউএনবি/বিপুল/১৯.০৯.২০২২/ রাত ১১.৫৮