মনিরুল ইসলাম মনি, শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা : যশোরের শার্শায় মৃত স্বামীর ব্যবসায়ীক দেনা পরিশোধ না করায় স্ত্রীসহ ৪ সন্তানের নামে পাওনা টাকা পেতে মানিছুট মামলা করেছেন জামাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী। যশোর বিজ্ঞ জেলা জজ ১ নং আদালত মামলা নং ০২/২০২২, তাং ০৪/০৯/২০২২। মামলার বাদী শার্শার বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী জামাল হোসেন শার্শার বসতপুর গ্রামের মৃত দুদ মিয়ার ছেলে। বিবাদী আসামীরা হলেন শার্শার নাভারন বাজারের বিশিষ্ঠ ফিলিং ষ্টেশন ব্যবসায়ী মৃত গোলাম কিবরিয়া মনু’র স্ত্রী ও চার সন্তান আল ফাইয়াজ কিবরিয়া, ফারদিন কিবরিয়া, ফাহামি কিবরিয়া ও তনিমা তাসনুভা।
ব্যবসায়ী জামাল হোসেনের লিখিত অভিযোগ ও মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ব্যবসায়ী জামাল হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে শার্শার বাগআঁচড়া বসতপুর এলাকায় মুদি ব্যবসা,বেকারী ব্যবসা, রড সিমেন্ট, ড্রাম ট্রাক ও এসকোভেটরী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সেই সুবাদে ব্যবসায়ী জামাল হোসেনের সাথে নাভারন বাজারের বিশিষ্ঠ ফিলিং ষ্টেশন তেল পাম্প ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া মনু’র সাথে বন্ধুত্ব হয়। এক পর্যায়গোলাম কিবরিয়া মনু অর্থ নৈতিক অসুবিধায় পড়লে জামাল হোসেনের কাছ থেকে কর্জ্জ হিসেবে তাদের মধ্যে শুরু হয় অর্থ নৈতিক লেনদেন। এক পর্যায় গোলাম কিবরিয়া গত ১০/০৩/১৫ তারিখে এক কোটি বত্রিশ লক্ষ টাকা , ২১/০৮/১৫ তারিখ এক কোটি ৪০ লক্ষ উনিষ হাজার টাকা ও আরও তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা গ্রহন করেন। গোলাম কিবরিয়া মনু ব্যবসায়ী জামাল হোসেনের নিকট থেকে মোট ২ কোটি ঊনষত্তর লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা গ্রহন করেন। টাকা গ্রহনের প্রমান হিসেবে ৩ শত টাকার স্টাম্পে গোলাম কিবরিয়া মনুসহ স্বাক্ষীদের স্বাক্ষর রয়েছে।
সূত্রে জানাগেছে, লেনদেনের এক পর্যায় গত ২০২২ সালের জানুয়ারী মাসে গোলাম কিবরিয়া মনু স্ট্রোক করে ইন্তিকাল করেন। গোলাম কিবরিয়া মনু’র মৃতুর পর জামাল হোসেন গোলাম কিবরিয়া মনু’র স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে তার পাওনা টাকা দাবী করে। গোলাম কিবরিয়া মনু’র স্ত্রী ও সন্তানরা জামাল হোসেনকে জানান তারা কোন টাকা দিতে পারবেন না। দীর্ঘ দিন বারবার তাগেদা দেওয়া সত্বেও টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ী জামাল হোসেন পাওনা টাকা পেতে মৃত গোলাম কিবরিয়া মনু’র স্ত্রী ও চার সন্তান আল ফাইয়াজ কিবরিয়া, ফারদিন কিবরিয়া, ফাহামি কিবরিয়া ও তনিমা তাসনুভা’র নামে মানিছুট মামলা দায়ের করেছেন। জামাল হোনের জানান, মৃত গোলাম কিবরিয়া মনু চারটি ফিলিংস্টেশন, নাভারন, যশোর, খুলনা ও ঢাকাতে প্রায় ৫০কোটি টাকার ভু সম্পদ রেখে গেলেও তার ওয়ারেশগন তার দেনা পরিশোধ করতে অস্বিকার করছেন।এ ব্যাপারে জানার জন্য আসামীদের সাথেযোগাযোগেরচেষ্টা করা হলে তাদের কাউকে শার্শা ও নাভারন এলাকায় পাওয়া যায়নি।
কিউএনবি/অনিমা/০৮.০৯.২০২২/দুপুর ১.৩০