স্পোর্টস ডেস্ক : টানা দুই ম্যাচে হেরে গ্রুপ পর্বেই শেষ বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন। ফাইনাল তো দূরের কথা এবার সুপার ফোরেও ওঠা হলো না তিনবারের ফাইনালিস্টদের। জয়ের দিক থেকে অর্জন শূন্য। তবে একেবারে শূন্য হাতে ফিরছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে অধিনায়ক সাকিবসহ টিম ম্যানেজমেন্ট যে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন সেটি হলো, চাপের সময় পেসাররা কে কেমন বোলিং করেন!
আর সেই উপলব্ধি বিশ্লেষণে টি-টোয়েন্টির পরবর্তী ম্যাচগুলোতে একাদশে পেসার যোগ বা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সহজতর হবে। এমনটাই জানিয়ে পেসারদের একরকম হুশিয়ারি দিলেন সাকিব। অধিনায়ক স্পষ্ট করে বললেন, দলের প্রয়োজন মেটাতে না পারলে বাদ পড়তে হবে পেসারদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেটে হারের ম্যাচে ভালো পারফর্ম দেখাতে পারেননি বাংলাদেশের পেসাররা। মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন মিলিয়ে ৮ ওভারে দেন ৭৯ রান, নেন মাত্র একটি উইকেট।
শ্রীলংকার বিপক্ষে শুরুটা দারুণ করলেও ওয়াইড-নোসহ বেশ খরুচে বোলিং করেছেন পেসার এবাদত ও মোস্তাফিজ।
এমন পেস আক্রমণ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে ভরাডুবি ছাড়া আর কিছুই হবে না – তা নিশ্চিত বলা যায়।
অসিদের পিচে পেসারদের ভালো পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই।
পেসারদের কাছে দলের সেই প্রত্যাশা রেখে সাকিব হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, ‘(এশিয়া কাপে) আমাদের জন্য চোখ খুলে দেওয়ার মতো ব্যাপার যে, পেসাররা চাপের সময় কেমন বোলিং করে। এই ধরনের পিচে, পেসারদের ১২ ওভার বোলিং করতে হবে। আমি বলছি না, ১২ ওভার করতেই হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩ পেসারের কাছ থেকে ১২ ওভার প্রত্যাশিত থাকবে। অন্তত ভালো ১০ ওভার প্রত্যাশা করবেন। অন্যান্য দেশগুলো হয়তো ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত প্রত্যাশা করে পেসারদের কাছ থেকে। সেখান থেকে আমরা ১০-১২ ওভার প্রত্যাশা করছি। আর এটা পেস বোলারদের ডেলিভার করতেই হবে। যারা ডেলিভার করতে পারবে, তারা থাকবে। যারা পারবে না, আসলে তারা থাকবে না। খুবই সহজ হিসাব এখানে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কাছাকাছি চরিত্রের পিচে পেসারদের পরীক্ষাটাও হয়ে যাবে বলে জানালেন সাকিব।
বললেন, ‘বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে আমাদের আরও চারটা ম্যাচ আছে। এগুলো অনেক সাহায্য করবে। দুই ম্যাচে চার জন বোলারকে এশিয়া কাপে দেখতে পেরেছি। সামনে আরও চারটা ম্যাচ থাকবে। বিশ্বকাপে আশা করি, এমন ৪-৫ জন পেসার পাব, যারা আমাদেরকে ১২-১৪ ওভার দিতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায় আমাদের আসলে পেসার বোলারদের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করতে হবে। আশা করি, বিশ্বকাপ আসতে আসতে আমরা ওরকম বোলার পাব, যারা আমাদের ১২ থেকে ১৩ ওভার প্রতি ম্যাচেই দিতে পারবে।’
কিউএনবি/আয়শা/০২ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:৫০