ডেস্ক নিউজ : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একুশ শতকের এই বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির যুগে প্রকৌশল ও প্রযুক্তির বিকল্প নেই। আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই হবে। এজন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রতি আমাদের অনেক নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমনস্ক হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিবান্ধবই শুধু নয়, প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারেও দক্ষ হবে। তারা শৃজনশীল হবে, মানবিক হবে। তারা শুধু শিখার মধ্যেই নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করবে। তারা ভালোভাবে শিখবে এবং শিক্ষাগ্রহণ শেষে শুধু চাকরি খুঁজবে না, তারা উদ্যোক্তাও হবে। তাদের কাছে আমরা অনেক কিছু চাই। এজন্য তাদের সুনাগরিক হতে হবে। তারা দক্ষ নাগরিক হবে- সেই প্রত্যাশা আমাদের।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে একটি উন্নত সুখী ও শান্তিময় বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তিনি ২০০৮ সালে আমাদের একটি দিন বদলের সনদ দিয়েছেন। সেখানে বলেছিলেন ২০২১ সালে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ হব, আমরা মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ হব। বঙ্গবন্ধু কন্যা ঠিক তার পিতার মতো যেটি বলেন সেটি বাস্তবায়ন করেন। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছি। আমরা আজ বহুক্ষেত্রে বিশ্বের রোল মডেল।
মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের পর আমাদের ২০৪১ সালের একটি রূপকল্প নেত্রী আমাদের দিয়েছেন। আমরা এখন স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি এবং অতি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও নিতে পারছি।
বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুর মহানগরের ডুয়েট ক্যাম্পাসের শহীদ আহসান উল্লাহ অডিটরিয়ামে ডুয়েট-ডে ২০২২ এর ১৯ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ডুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ, পরিচালক ছাত্রকল্যাণ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইনলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস, ডুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাইবুর রহমান, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন প্রমুখ।
কিউএনবি/অনিমা/০১ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ১১:৩৫