ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় স্কুলশিক্ষিকা মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাবা। মামলার পর আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানার পরও গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী বাবা নুরুল হক (৬০)।
তিনি উপজেলার শাহ্ মুজিব উল্লাহ মাজার হেফজখানার সাবেক শিক্ষক। অভিযুক্ত মেয়ের নাম ছালেহা বেগম (২৮)। তিনি উপজেলার পূর্ব ইছামতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাদের বাড়ি উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড মৌলভীপাড়া। অভিযুক্ত ছালেহা থাকেন আত্মীয়ের বাড়ি পোমরা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলার বাদী নুরুল হকের সঙ্গে মেয়ে ছালেহা বেগমের বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের কারণে মেয়ে ছালেহা বেগম বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগ খুঁজতে থাকেন। এ বছরের ২০ এপ্রিল বিকালের দিকে উপজেলার রোয়াজারহাট এলাকায় বাবা নুরুল হককে দেখে মেয়ে ছালেহা সামনে গিয়ে মারধর করতে থাকেন। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় নুরুল হক ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে একটি মামলা করেন। গত মাসের শেষের দিকে আদালত বিবাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী নুরুল হক বলেন, মেয়েকে লেখাপড়া করিয়ে শিক্ষক বানালাম, কিন্তু মেয়ের কাছ থেকে এমন লাঞ্ছনার শিকার হতে হবে কোনো দিন ভাবিনি। অনেক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছি, বাধ্য হয়ে মামলা করতে হলো। আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানার পরও বিবাদী গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছি।
অভিযুক্ত ছালেহা বেগম তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমার মা, আমাকে ও পরিবারের সবাইকে বাবা মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে করা মামলা বানোয়াট ও মিথ্যা।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. মাহবুর মিলকী বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি পেয়েছি। অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
মামলা ও পরোয়ানার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হিন্দোল বারী বলেন, কারও বিরুদ্ধে মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা হলে চাকরি থেকে বরখাস্তের জন্য আমরা জেলাতে পাঠাই। এ শিক্ষিকার বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
কিউএনবি/অনিমা/২৪.০৮.২০২২/দুপুর ২.২৬