ডেস্কনিউজঃ কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে কাছে নাজিরারটেক চ্যানেলে ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই দিনে পৃথকভাবে পাঁচজন জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- হোসেন আহমদ, আজিজুল হক ও মোহাম্মদ আবছান, মোহাম্মদ আবু তৈয়ব ও সাইফুল ইসলাম।
রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মহেশখালী চ্যানেলের মোহনা থেকে তাদের লাশ ভাসতে দেখে জেলেরা। পরে স্বজনরা কোস্টগার্ডের সহায়তা লাশ তিনটি উদ্ধার করে। এর আগে গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে মহেশখালী চ্যানেল থেকে আবু তৈয়ব ও সন্ধ্যার দিকে সোনাদিয়া চ্যানেল থেকে সাইফুলের লাশ ভাসতে দেখে জেলেরা। পরে স্বজনরা কোস্টগার্ডের সহায়তায় লাশ দুটি উদ্ধার করে।
নিহত হোসেন বাড়ি সদর উপজেলার খুরুশকুলেরর পূর্ব হামজার ডেইল ও আজিজুল একই ইউনিয়নের মামুন পাড়ায়, আর আবছারের বাড়ি হামজার ডেইল। মোহাম্মদ আবু তৈয়ব ও সাইফুল ইসলামের বাড়ি খুরুশকুল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো: সেলিম উদ্দিন।
তিনি জানান সকালে পাঁচজন জেলের লাশ উদ্ধার করে তার স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছে।
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারের মালিক জাকের হোসেন জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের বাড়ি খুরুশকুলে। বৈরী আবাহাওয়ার কারণে শুক্রবার বিকেলে সাগর থেকে কূলে ফেরার পথে সাগরের নাজিরারটেক চ্যানেলে ডুবে যায় ‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামে এই ফিশিংট্রলার। ট্রলারে থাকা ১৯ জেলের মধ্যে ৮ জনকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। অন্য ট্রলারে করে কূলে ফিরে আরো তিনজন। বাকি নিখোঁজ ৮ জনের মধ্যে তৈয়ব ও সাইফুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে শনিবার। এরপর রোববার সকালে এ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ আছে আরো তিন জেলে।
বিপুল/ ২১.০৮.২০২২/ সন্ধ্যা ৬.৩৭