রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

শিশুকে যেভাবে ঘরের কাজ শেখাবেন

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২
  • ১৯৪ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : শিশুকে ছোটবেলা থেকেই সব ধরনের কাজ শেখানো উচিত। কীভাবে কথা বলবে? কীভাবে সবার সঙ্গে মিশবে? লেখাপড়া শুরুর প্রাথমিক ধাপও শুরু হয় ছোটবেলা থেকে। আর শিশুর বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও ঘরের কাজ শেখা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। সংসারের কাজে হাত লাগানোর অভ্যাস শিশুকে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর করে। এ কারণে বাড়ির ছোটখাটো কাজে শিশুকে উৎসাহিত করুন।

শিশুকে একদম ছোট বয়স থেকেই কাজ শেখান। অন্তত নিজের বিছানা বা পড়ার টেবিল গোছানোর দায়িত্ব যে তারই, এটা বুঝান। সঙ্গে কাজে আগ্রহ দেখালে প্রশংসা করুন। সপ্তাহে অন্তত একটা দিন, সময় নির্দিষ্ট করে দিন কাজের জন্য। তাকে বুঝিয়ে বলুন, এই বাড়িটা তারও। ফলে সেটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখার ক্ষেত্রে তারও যথেষ্ট দায়িত্ব রয়েছে।

প্রথমে হয়তো শিশু কাজ করতে চাইবে না। তাই বকাবকি করে কোনো সমাধান হবে না। বরং নিজেরা বাড়ির ছোট ছোট কাজ করুন তার সামনে। দেখিয়ে দিন, কোন কাজটা কীভাবে করতে হয়। আপনাদের দেখেই সে ধীরে ধীরে শিখবে।

একদম ছোট শিশুকে (২ থেকে ৩ বছর) খেলার পরে খেলাচ্ছলেই খেলনা গুছিয়ে রাখার শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কত তাড়াতাড়ি খেলনা গুছিয়ে ফেলা যায়, সেটা মজার একটা খেলা হিসেবে উল্লেখ করতে পারেন। এতে নতুন কাজ শেখার প্রতি শিশুর উৎসাহ তৈরি হবে।

এ ছাড়াও খাওয়ার পর প্লেট বেসিনে রেখে আসা বা টেবিলে পানি ফেললে তা কাপড় দিয়ে মোছার কাজও শেখাতে পারেন। এতে শিশুর মধ্যে পরিচ্ছন্নতাবোধ তৈরি হবে।

একটু বড় হলে (৬ থেকে ৮) ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানা গোছানো, পছন্দের রং অনুযায়ী আলমারিতে জামাকাপড় সাজিয়ে রাখা, বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের জন্য চা বা কফি দিয়ে আসা বা ডোরবেল বাজলে দরজা খুলে দেওয়া ইত্যাদি কাজের দায়িত্ব দিতে পারেন।

একসঙ্গে কাজ করার মজা কত, সেটা ছোট থেকেই শিশুকে শিখান। গাড়ি পরিষ্কার করাই হোক বা বাগানের পরিচর্যা, সপ্তাহে অন্তত একটা কাজ সপরিবারে করার চেষ্টা করুন। তাহলে শিশু কাজ শেখার পদ্ধতিও উপভোগ করবে এবং সহযোগিতার মূল্য শিখবে।

একসঙ্গে কোথাও পিকনিকে যাচ্ছেন? বেড়ানোর পরিকল্পনায় শিশুকেও সামিল করুন। ব্যাগ গোছানো বা জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখার কাজে তাদের সাহায্য নিন।

কারোর যদি একের বেশি সন্তান থাকে, তাহলে যে বড়, তাকে ছোট বোন বা ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে উৎসাহ দিন। যেমন ভাই বা বোনকে ঘুম পাড়ানো, কিংবা সময়মতো ঘুম থেকে তুলে দেওয়া, বা আপনি যখন কোনো কাজে ব্যস্ত রয়েছেন বা একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন তখন ভাই-বোনদের সঙ্গে খেলা করে তাদের ভুলিয়ে রাখা।

আর-একটু বড় হলে ভাই বা বোনকে হোমওয়ার্কে সাহায্য করতেও বলতে পারেন। এতে তার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি হবে। ভাইবোনের সম্পর্কও দৃঢ় হবে।

কিউএনবি/অনিমা/১৯.০৮.২০২২/রাত ১০.৩৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit