আজ ১৯ আগস্ট (২০২২) শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের নিচতলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সুভাষ সিংহ রায়ের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাববুল আলম হানিফ এমপি বলেছেন , বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অধঃপতন এর জন্য যতটা না ছাত্র রাজনীতি দায়ী ,তার চেয়ে বেশি শিক্ষকরা দায়ী।
আসিফ নজরুল ইসলামের কী লজ্জাজনক কথা! শুনে মাথায় হেট হয়ে যায়। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার জন্য দীর্ঘ প্লট তৈরি করেছিল ।হেনরী কিসিঞ্জারের বক্তব্য শুনলেই বোঝা যায় তিনি কতটা স্বাধীনতা বিদ্বেষী ছিলেন।বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের কে হত্যার সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যের পেছনে কারা জড়িত তা খোঁজে বের করার জন্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা দরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মানুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে ।এক পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি হাসিনা এবং অপরপক্ষে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করছেন খালেদা জিয়া।জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে নায়ক ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে খুনিদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় বেগম খালেদা আরামে ছিলেন। তাই এখন তিনি পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করছেন।যে স্বপ্ন নিয়ে একাত্তরে এত মানুষের আত্মত্যাগ, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস কে ভবিষ্য প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর সাবেক সভাপতি এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি এ কে আজাদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বলতে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে হয়। একজন শিল্পী যখন গান করে , নিজে গানের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মাটি এবং মানুষের জন্য নিজেকে বিলীন করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মাওলানা ভাসানী একবার কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে নারায়ণগঞ্জে পাঠালেন। সাইকেল চালিয়ে তিনি গেলেন।ঢাকায় এসে সেই টাকা মাওলানা ভাসানী কে ফেরত দিলেন। এটা ছিল তার সততা।মাওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বশ্রেষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন।এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান কয়েকশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/অনিমা/১৯.০৮.২০২২/রাত ৯.৪০