মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ,নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশের ডাঙ্গা ইউনিয়নে খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজের একদিন পর এক শিশুর মরদেহ সড়কের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিরচর এলাকার সড়কের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই শিশুর নাম মো. সালমান ফারসি (৪)। সে পলাশের ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিরচর এলাকার মো. ইকবাল হোসেনের ছেলে। গতকাল সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে খেলতে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল শিশুটি।শিশুটির পরিবার জানায়, বাড়ির খুব কাছেই ঘটনাস্থল।
এর পাশের একটি খোলা জায়গায় আরও কিছু শিশুর সঙ্গে সালমান সবসময় খেলতে যেত। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালেও সেখানে খেলতে যায়। সেখানে তাকে খেলতে দেখাও গিয়েছিল। কিন্তু বেলা ১১টার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আশপাশের সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি শেষে তাকে না পেয়ে আমরা রাতে পলাশ থানায় গিয়ে নিখোঁজ মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।তারা আরও জানান, আজ সকালেও তাকে বাড়ি, খেলার জায়গা ও সড়কটির আশপাশে খোঁজাখুঁজি করা হচ্ছিল। একপর্যায়ে বাড়ি-সংলগ্ন সড়কের একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এক স্থানীয়। পরে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা সেখানে গিয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পলাশ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।শিশুর চাচা দেলোয়ার হোসেন জানান, গতকাল সকালে আমার ভাতিজা সালমান ফারসি নিখোঁজ হওয়ার পর কোথাও তাকে না পেয়ে আমাদের ধারণা হয়েছিল, হয়তো ‘ছেলেধরা’ নয়তো অপহরণের শিকার হয়েছে সে।
এ জন্যই থানায় গিয়ে নিখোঁজের জিডি করেছিলাম। আজ বাড়ি-সংলগ্ন সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধারের পর মনে হচ্ছে, হয়তো খেলার সময় কোনোভাবে ওই ম্যানহোলের ভেতরে পড়ে গিয়েছিল। আমরা মনে করছি, এটি একটি দুর্ঘটনা। তাই তার এটুকু শরীরে কোনো কাটাছেঁড়া হোক, আমরা চাই না।পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, শিশুটি দুর্ঘটনাবশত সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে পড়ে গিয়ে মারা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়নি। তাদের দেওয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
কিউএনবি/অনিমা/১৬ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:১৭