ডেস্কনিউজঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও বিচারিক ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে গণফোরাম। সংসদ বিলুপ্ত করে সশস্ত্র বাহিনী থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা চেয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে এমন প্রস্তাবনা দিয়েছে দল দু’টি।
গণফোরামের নির্বাহী সদস্য মোকাব্বির খান এমপির নেতৃত্বে সংলাপে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন।
দলটির লিখিত প্রস্তাবগুলো হলো-
নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করা, নির্বাচনে দায়িত্বরতরা অপরাধে জড়িত হলে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান, প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তি এবং ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের বিষয়ও ন্যূনতম পক্ষে ভোট গ্রহণের একমাস আগে প্রকাশ, প্রতি বুথে স্বচ্ছ (Transparent) ভোট বাক্সের ব্যবস্থা করা, কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনকেই ফলাফল ঘোষণা করা, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে কোন মামলা দায়ের করা হলে দুই মাসের মধ্যে তার নিষ্পত্তি করা এবং আপীল সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বেঞ্চ কর্তৃক তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার প্রস্তাব দিয়েছে দরটি।
এছাড়া নির্বাচনী আইন ও বিধির সংস্কারেও ১০টি প্রস্তাব রয়েছে গণফোরামের। এগুলো হলো- নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করা, নিজে অথবা পরিবারের কেউ ঋণখেলাপী হলে প্রার্থিতা বাতিল করা, সরকারী চাকুরী বিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচনে প্রার্থী হতে না দেওয়া, যুদ্ধাপরাধীকে প্রার্থিতা না দেওয়া, নির্বাচনকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখা, নির্বাচনে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার বন্ধ করা, প্রচারসহ সকল ক্ষেত্রে সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা, সব প্রার্থীকে এক মঞ্চে সভা করার সুযোগ প্রদান এবং সশস্ত্র বাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সজ্ঞায় আনা ও তাদের বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে মোতায়েন করা কথাও বলেছে দলটি।
সংলাপে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ এর চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
দলটির লিখিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্বীকক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা চালু, সংসদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি আজ সময়ের দাবী, আসনভিত্তিক নির্বাচনের পাশপাশি ভোটের অনুপাতের ভিত্তিতে আসন বন্টন, ছয়মাস আগে ভোটার তালিকা প্রকাশ, প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ, সংবিধানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অসঙ্গতিপূর্ণ আরপিও’র ধারা বাতিল, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ সমর্থনের বিধান রহিতকরণ; তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা, ন্যূনতম পাঁচ বছর রাজনীতি না করলে প্রার্থিতা নয়, ইলেকটরাল ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেম (ইএমএস) গ্রহণ, রিটার্নিং কর্মকর্তার ৩ সদস্যের প্যানেলে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাকে অন্তর্ভূক্তকরণ, প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে লাইভ স্ট্রিমিং, কেন্দ্রে পিপল কাউন্টিং মেশিন স্থাপন করে নির্বাচনের দিন মোট ভোটের যোগফল এর সহিত কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণে করা, ইভিএম ব্যবহার না করা, প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সার্টফিকেট ইস্যু করার দাবিও জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
কিউএনবি/বিপুল/২৮.০৭.২০২২/বিকাল ৫.০৫