ডেস্ক নিউজ : ‘এক লাখ টাকায় ভাবছিলাম মনের মতো একটা গরু কিনব। কিন্তু হাটে আসার পর সেটা পারব বলে মনে হচ্ছে না। মাঝারি আকারের গরুর দামও দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। আর বড় গরুর কথা না হয় না-ই বললাম। যেহেতু আল্লাহর নামে কোরবানি দিব, তাই ভেবে আর কী হবে। যে টাকা রাখছিলাম সেই বাজেটেই একটা গরু নিয়ে নিলাম। কবুলের মালিক আল্লাহ। ’ গতকাল বৃহস্পতিবার আফতাবনগর হাটে কোরবানির পশু কিনে ফেরার সময় কথাগুলো বলছিলেন রামপুরার ব্যবসায়ী কামাল আহমেদ। এই ব্যবসায়ীর মতো অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, নিজেদের বাজেটের সঙ্গে সমন্বয় করে ছোট বা মাঝারি গরু দিয়ে কোরবানি করবেন তাঁরা।
গতকাল সকালে রাজধানীর আফতাবনগর ও মেরাদিয়া হাটে তেমন ভিড় দেখা না গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। আফতাবনগর হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে গরু। দলে দলে হাটে প্রবেশ করছে মানুষ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সকাল থেকে বেচাকেনা জমে উঠেছে। নাটোরের এক গরু ব্যবসায়ী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে ক্রেতার অপেক্ষায় ছিলাম। এখন মানুষ আসছে আর অনেকে কিনছেও। তবে অনেকে নিজেদের রাখা টাকার (বাজেট) বাইরে যেতে পারছে না বলে মন খারাপ করে চলে যাচ্ছে। আমরাও লাভের কথা ভেবে দিতে পারছি না। ’
পরে গরু বিক্রি না হওয়ার ভয়েও আছেন অনেক ব্যবসায়ী। কুষ্টিয়ার গরুর খামারি রানা মিয়া বলেন, ‘গত বছর ১৫টি মাঝারি আকারের গরু এনেছিলাম। লাভ কম হচ্ছে দেখে বিক্রি করি নাই। পরে তিনটি গরু থেকে গেছে। গাড়ি ভাড়া দিয়ে লস দিয়ে নিতে হয়েছে। এবার ১২টা গরু আনলাম। ভয়ে আছি, পরে যদি থেকে যায়! দেখি শেষের দিকে হয়তো কম লাভে হলেও ছেড়ে দিতে পারি। ’আফতাবনগর হাটের তথ্যকেন্দ্রে বসে মাইকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছিলেন খালেক ভূঁইয়া। তিনি জানান, আফতাবনগর হাটে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নাটোর, পাবনা ও ফরিদপুর এলাকা থেকে গরু এসেছে। এখনো গরু হাটে ঢোকানো হচ্ছে। ঈদের দিনও বেচাকেনা চলবে।
আফতাবনগর প্রজেক্টের অন্য পাশেই রামপুরা থানার পাশে বসেছে মেরাদিয়া পশুর হাট। হাটের গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ল বড় আকারের কিছু গরু। হাটের মধ্যখানে রাখা হয়েছে মাঝারি ও ছোট আকারের অনেক গরু। বড় আকারের গরুর শেডের সামনে মানুষের ভিড় বেশি হলেও সেখানে তেমন বিক্রি হতে দেখা যায়নি। তবে ছোট ও মাঝারি গরুর শেডগুলোতে ক্রেতারা দরদাম করে মনমতো হলেই কিনে নিতে দেখা যায়। একই রকম তথ্য দিলেন হাটের ব্যবসায়ী, খামারি ও ক্রেতারা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরু বিক্রি সেভাবে হচ্ছে না। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা শাহেদ শফিক বলেন, ‘গরু কিনতে আরো কয়েক দিন এসে ঘুরে গেছি। দাম বেশি চায়। লাখের নিচে কোনো গরু নাই। তাই কিনতে পারছি না। দেখি শেষের দিকে কিছুটা কমে কি না। ’
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর এলাকার গরু ব্যবসায়ী হুল মিয়া বলেন, ‘১৮ মাস ধরে ১০টি গরু পালন করেছি। তিনটা বড় গরু থাকলেও কেউ তেমন দাম বলছে না। ’ফরিদপুর থেকে আনা এক গরু ঘিরে দেখা গেল মানুষের ভিড়। খামারি শিকদার আলী জানান, এই হাটে এটাই সবচেয়ে বড় গরু। ওজনে এক টনের কাছাকাছি হবে। ১৫ লাখের নিচে হলে তিনি বিক্রি করবেন না। দেখা গেছে, বড় গরুগুলোর সঙ্গে ছবি তোলা ও ভিডিও করাতেই সীমাবদ্ধ ছিল অনেকে। আবার কেউ কেউ দাম জিজ্ঞেস করেই মুখ ফিরিয়েছে। হাসিল কাউন্টার, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় গরু এখনো সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না।
হাট থেকে একটা ষাঁড় কিনে বাসায় যাচ্ছিলেন রাকিবুল ইসলাম নামে বাসাবোর এক বাসিন্দা। রাকিব বলেন, ‘প্রায় দুই ঘণ্টা ঘুরে দাম ও চাহিদা অনুযায়ী গরু মেলাতে পারছিলাম না। পরে মাঝারি সাইজের ষাঁড়টি এক লাখ টাকা দিয়ে কিনেছি।‘এক লাখ টাকায় ভাবছিলাম মনের মতো একটা গরু কিনব। কিন্তু হাটে আসার পর সেটা পারব বলে মনে হচ্ছে না। মাঝারি আকারের গরুর দামও দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। আর বড় গরুর কথা না হয় না-ই বললাম। যেহেতু আল্লাহর নামে কোরবানি দিব, তাই ভেবে আর কী হবে। যে টাকা রাখছিলাম সেই বাজেটেই একটা গরু নিয়ে নিলাম। কবুলের মালিক আল্লাহ। ’ গতকাল বৃহস্পতিবার আফতাবনগর হাটে কোরবানির পশু কিনে ফেরার সময় কথাগুলো বলছিলেন রামপুরার ব্যবসায়ী কামাল আহমেদ। এই ব্যবসায়ীর মতো অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, নিজেদের বাজেটের সঙ্গে সমন্বয় করে ছোট বা মাঝারি গরু দিয়ে কোরবানি করবেন তাঁরা।
গতকাল সকালে আফতাবনগর ও মেরাদিয়া হাটে তেমন ভিড় দেখা না গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। আফতাবনগর হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে গরু। দলে দলে হাটে প্রবেশ করছে মানুষ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সকাল থেকে বেচাকেনা জমে উঠেছে। নাটোরের এক গরু ব্যবসায়ী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে ক্রেতার অপেক্ষায় ছিলাম। এখন মানুষ আসছে আর অনেকে কিনছেও। তবে অনেকে নিজেদের রাখা টাকার (বাজেট) বাইরে যেতে পারছে না বলে মন খারাপ করে চলে যাচ্ছে। আমরাও লাভের কথা ভেবে দিতে পারছি না। ’
পরে গরু বিক্রি না হওয়ার ভয়েও আছেন অনেক ব্যবসায়ী। কুষ্টিয়ার গরুর খামারি রানা মিয়া বলেন, ‘গত বছর ১৫টি মাঝারি আকারের গরু এনেছিলাম। লাভ কম হচ্ছে দেখে বিক্রি করি নাই। পরে তিনটি গরু থেকে গেছে। গাড়ি ভাড়া দিয়ে লস দিয়ে নিতে হয়েছে। এবার ১২টা গরু আনলাম। ভয়ে আছি, পরে যদি থেকে যায়! দেখি শেষের দিকে হয়তো কম লাভে হলেও ছেড়ে দিতে পারি। ’আফতাবনগর হাটের তথ্যকেন্দ্রে বসে মাইকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছিলেন খালেক ভূঁইয়া। তিনি জানান, আফতাবনগর হাটে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নাটোর, পাবনা ও ফরিদপুর এলাকা থেকে গরু এসেছে। এখনো গরু হাটে ঢোকানো হচ্ছে। ঈদের দিনও বেচাকেনা চলবে।
আফতাবনগর প্রজেক্টের অন্য পাশেই রামপুরা থানার পাশে বসেছে মেরাদিয়া পশুর হাট। হাটের গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ল বড় আকারের কিছু গরু। হাটের মধ্যখানে রাখা হয়েছে মাঝারি ও ছোট আকারের অনেক গরু। বড় আকারের গরুর শেডের সামনে মানুষের ভিড় বেশি হলেও সেখানে তেমন বিক্রি হতে দেখা যায়নি। তবে ছোট ও মাঝারি গরুর শেডগুলোতে ক্রেতারা দরদাম করে মনমতো হলেই কিনে নিতে দেখা যায়। একই রকম তথ্য দিলেন হাটের ব্যবসায়ী, খামারি ও ক্রেতারা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরু বিক্রি সেভাবে হচ্ছে না। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা শাহেদ শফিক বলেন, ‘গরু কিনতে আরো কয়েক দিন এসে ঘুরে গেছি। দাম বেশি চায়। লাখের নিচে কোনো গরু নাই। তাই কিনতে পারছি না। দেখি শেষের দিকে কিছুটা কমে কি না। ’
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর এলাকার গরু ব্যবসায়ী হুল মিয়া বলেন, ‘১৮ মাস ধরে ১০টি গরু পালন করেছি। তিনটা বড় গরু থাকলেও কেউ তেমন দাম বলছে না। ’ফরিদপুর থেকে আনা এক গরু ঘিরে দেখা গেল মানুষের ভিড়। খামারি শিকদার আলী জানান, এই হাটে এটাই সবচেয়ে বড় গরু। ওজনে এক টনের কাছাকাছি হবে। ১৫ লাখের নিচে হলে তিনি বিক্রি করবেন না। দেখা গেছে, বড় গরুগুলোর সঙ্গে ছবি তোলা ও ভিডিও করাতেই সীমাবদ্ধ ছিল অনেকে। আবার কেউ কেউ দাম জিজ্ঞেস করেই মুখ ফিরিয়েছে। হাসিল কাউন্টার, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছোট ও মাঝারি গরু বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় গরু এখনো সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। হাট থেকে একটা ষাঁড় কিনে বাসায় যাচ্ছিলেন রাকিবুল ইসলাম নামে বাসাবোর এক বাসিন্দা। রাকিব বলেন, ‘প্রায় দুই ঘণ্টা ঘুরে দাম ও চাহিদা অনুযায়ী গরু মেলাতে পারছিলাম না। পরে মাঝারি সাইজের ষাঁড়টি এক লাখ টাকা দিয়ে কিনেছি। ’
কিউএনবি/আয়শা/০৮ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:২৯