বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৬ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে আবারও কৃষ্ণাঙ্গ-হত্যা, শহরজুড়ে বিক্ষোভ

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২
  • ১২৩ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্র, আবারও ট্রাফিক পুলিশের হাতে প্রাণ হারালো কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক। আর তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল আমেরিকার ওহায়ো প্রদেশ। এরই মধ্যে বড় মাপের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন অ্যাক্রনের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরবাসীকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার ও মেয়র।

জানা যায়, জেল্যাল্ড ওয়াকার নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ভঙ্গ করেছিলেন ট্রাফিক আইন। পুলিশ বলেছিলেন গাড়ি থেকে নামতে, তবে তিনি নামেন নি। বরং চেষ্টা করেছিলেন পালানোর। আর তাতেই বিপত্তি। সেই অপরাধে ৬০টিরও বেশি গুলিতে জেল্যাল্ড ওয়াকারকে ঝাঁঝড়া করেদিয়েছিল পুলিশ। অন্যদিকে, পুলিশের অবশ্য দাবি, গুলি চালিয়েছিলেন ওয়াকারও। 

গত রবিবার রাতে উত্তর-পূর্ব আমেরিকার ছোট্ট শহর অ্যাক্রনে এই ঘটনা ঘটে। 

আক্রন পুলিশের দাবি, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল একটি গাড়ি। পুলিশ সেটির পিছু নেয়। চালককে গাড়ি থেকে নামতে বলেন তারা। কিন্তু গাড়ির ভিতর থেকেই এক বার গুলি ছোড়েন চালক। তারপরে গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন।

পুলিশের বিবৃতি অনুয়ায়ী, “পালানোর সময়ে তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, ফের গুলি চালাতে পারে। তাই আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হই।”

আর যাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ২৫ বছর বয়সি জেল্যান্ড ওয়াকার। পেশায় ডেলিভারি বয় জেল্যান্ড শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের, জানিয়েছেন তার প্রতিবেশী ও আত্মীয়েরা।

তবে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকটি যে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল, বা পরেও গুলি চালানোর চেষ্টা করেছিল, তা কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়নি। তাঁর সঙ্গে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল কি না, সে বিষয়েও পুলিশ নীরব। 

ফলে প্রশ্ন উঠছে, এ ভাবে তাকে হত্যা করা হল কেন? 

এদিকে জেল্যান্ড পরিবারের আইনজীবী ববি ডি সেলো দাবি করেছেন, পুলিশ সেদিন প্রায় ৯০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। যার মধ্যে অন্তত ৬০টি জেল্যান্ডের শরীর মধ্যে গিয়েছে। অসংখ্য গুলিতে যুবকটির মুখমণ্ডলও ঝাঁঝড়া হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।

এই ঘটনার পরে ওহায়োর বিভিন্ন শহরে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। রবিবার, অ্যাক্রনে একটি বড় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। গন্ডগোলের আশঙ্কায় শহরের পুলিশ সদর দফতরের সামনে বাড়তি কাঁটাতার ও ব্যারিকেড লাগানো হয়।

এদিকে শহরবাসীকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়ে পুলিশ কমিশনার স্টিভ মাইলেট বলেছেন, “ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না।” 

একই বার্তা দিয়েছেন মেয়র ড্যান হরিগ্যানও।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

কিউএনবি/অনিমা/০৩ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/সকাল ১১:৫০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit