ডেস্ক নিউজ : ‘সরকারের সাফল্য নির্ভর করে আমলাদের কর্মতৎপরতার ওপর। কেননা সরকারের ভেতরের স্টিল ফ্রেম হচ্ছে আমলাতন্ত্র। দেওয়ালের ভেতরে যেমন লোহার ফ্রেম থাকে, তেমনি সরকারের ভেতরের লোহার কাঠামো হচ্ছে আমলারা। তবে তাদের পরিচালিত করে রাজনৈতিক শক্তি। রাজনৈতিক শক্তি যেমন চান সেভাবে তারা কাজ করে। ঘোড়ার সওয়ারের মতো রাজনীতিবিদরা আমলাদের পরিচালিত করেন।’
গতকাল রাজধানীতে এক সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছিলেন, ‘কিছু কিছু বিধি বা আমলান্ত্রিকতা অন্যায় এবং অমানবিক। যে কাজ নয় সেকেন্ডে করা যায়, সে কাজে আমলারা ৯০ দিন লাগান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯০ দিনের তিনগুণ সময়ও লাগান। দুষ্টু আমলাদের ধরা যায় না। তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে যে নিয়মকানুনগুলো আছে- তা কঠোর নয়। এখন সময় এসেছে আইনকানুনের সংস্কারের। তবে সেগুলো পারা যাচ্ছে না দুষ্টু আমলাদের চাতুরির কারণে।’
আজকে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘ফাইল ধরে রাখার একটা নিয়ম আছে। কিন্তু সেটা মানা হয় কি না, সেটি বড় কথা।’শুদ্ধাচার পুরস্কার যারা পেলেন, তারা হলেন- জাতীয় বেতল স্কেল ২ থেকে ১০ পর্যন্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে শিল্প ও শক্তিশালী বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব নজিবুর রহমান। গ্রেড ১০-১৬ এর কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিকল্পনা বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম এবং ১৭-২০ গ্রেডের কর্মকর্তাদের মধ্যে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) অফিস সহকারী বেগম জুয়েলা শেখ।
অফিস প্রধান হিসেবে শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। সভাপতির বক্তব্যে পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, এপিএর মাধ্যমে নিজেকে নিজেই মূল্যায়ন করা যায়।যেসব কর্মকর্তা সঠিক সময়ে অফিসে এসেছেন, সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেছেন, কর্মতৎপরতা ভালো ছিল- মূল্যায়ন করে তাদের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
কিউএনবি/আয়শা/৩০.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৯:৩৫