মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন

কে মুসলিম বিশ্বের এক নম্বর শত্রু, জানাল ইরান

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২
  • ১১৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলকে মুসলিম বিশ্বের এক নম্বর শত্রু বলে অভিযুক্ত করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের স্বাধীনতার প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন দেওয়ার জন্য তিনি তুরস্কের প্রশংসা করেছেন। সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগ্লুর সঙ্গে আঙ্কারায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আমরা ভুয়া ইসরাইল সরকারকে মুসলিম বিশ্বের এক নম্বর শত্রু  হিসেবে বিবেচনা করি।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি তুরস্কের সমর্থনের প্রশংসা করে আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আমরা নিশ্চিত যে, তুরস্ক কখনো ফিলিস্তিনি জনগণ, বায়তুল মুকাদ্দাস ও আল আকসা মসজিদের স্বাধীনতার প্রশ্নে দূরে চলে যায়নি। ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য হচ্ছে যে, পৃথিবীর যেখানেই যাক না কেন তারা সেখানে সংকট ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির মূল কারণ হয়ে দেখা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল সম্প্রতি ইরান সফর করেছেন। সে সম্পর্কেও আমির আব্দুল্লাহিয়ান তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।

সোমবার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা পরিকল্পনার আলোচনা করতে তুরস্ক পৌঁছান আমির আব্দুল্লাহিয়ান। ইসরাইল যে ভূখণ্ডে রয়েছে, সেটি ৪০০ বছর (১৫১৭ থেকে ১৯১৭) অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনই ছিল। অর্থাৎ মুসলিমদের অধীন ছিল। এর পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের ওসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর এটি ব্রিটিশদের দখলে চলে যায়। এর নাম রাখা হয় মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইন। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। সপ্তম শতাব্দী থেকেই ইহুদিদের নিজস্ব ভূখণ্ড ছিল না। তারা বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছিল। একপর্যায়ে তারা ইউরোপে পাড়ি জমায়। এর পর ইহুদিরা ফিলিস্তিনে এসে গেড়ে বসে।

১৯২৩ সালে স্বাধীন তুরস্কের জন্ম হলে এ অঞ্চলে ইহুদিরা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে যান। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইহুদিদের ইসরাইলে বসতি গড়ার আহ্বান জানানো হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদি ইসরাইলে পাড়ি জমান। ১৯২১ সালে ইহুদিরা হাগানাহ নামে এক বাহিনী তৈরি করে। এই বাহিনী মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদীদের সহায়তা করতে থাকে। আধাসামারিক এ বাহিনী জোরপূর্বক ফিলিস্তিন ভূমি দখলের পর ইসরাইলের মূল সামরিক বাহিনী গঠন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ইউরোপ থেকে আরও ইহুদি ইসরাইলে আসেন। তাদের অনেককেই হাগানাহসহ অন্যান্য বাহিনীতে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেয়।

১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে দ্বিখণ্ডিত করার বিষয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করার প্রস্তাব পাস করে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৪৫ শতাংশ ভূমি ফিলিস্তিনিদের এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ইহুদিবাদীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এভাবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরাইল স্বাধীনতা ঘোষণা করে। সেই সময় ইসরাইলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ডেভিড বেনগুরিয়ান। তাকে ইহুদি ‘রাষ্ট্রের জনক’ বলা হয়। এর দুদিন পর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরাইলকে প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৮.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:১৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit