ডেস্ক নিউজ : ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসদরের আল-আজহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি বৃষ্টি হলেই প্লাবিত হয়ে জলাশয়ে পরিণত হয়। মাঠটি পানির নিচে থাকায় স্কুল খুললেও খেলাধুলা ও যাতায়াতে শিক্ষার্থীসহ আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আজ বৃহস্পতিবার সরজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টির পুরো মাঠ পানিতে থইথই করছে। অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে শ্রেণিকক্ষে যাওয়া-আসা করছে।
শ্রেণিকক্ষে যাওয়া-আসার সময় শিক্ষার্থীদের কাপড় ভিজে যাচ্ছে। ভেজা কাপড়ে তাদের অস্বস্তিতে ক্লাসে বসে থাকতে হচ্ছে। এ ছাড়া ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তাদের বাবা-মা বা দাদা-দাদির কোলে চড়ে বিদ্যালয়ে আসছে।বিদ্যালয়টির চারপাশে আবাসিক এলাকা। এ সড়ক বা মাঠ পেরিয়েই বাসিন্দারা যাওয়া-আসা করেন। শিক্ষকরা জানান, মাঠে পানি জমে থাকায় একদিকে ক্লাসের পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছেন না। অন্যদিকে দিনের পর দিন এভাবে ভেজার কারণে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, মাঠটি খানিকটা নিচু। তাই বৃষ্টির পানি জমে গত প্রায় দুই মাস ধরে পানির নিচে ডুবে আছে মাঠটি। আগামি দুই মাসও এভাবেই থাকবে। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। মাঠটি ভরাট করার জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করলেও কোনো কাজে হয়নি।
কয়েকজন অভিভাবক বলেন, বছরের তিন মাস মাঠে পানি জমে থাকে। এতে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলাসহ স্বাভাবিক হাঁটাচলাও করতে পারে না। ক্লাসে আসার সময় কাপড় ভিজে যায়। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, দীর্ঘদিন করোনার কারণে বন্ধ থাকার পর বিদ্যালয়ে এসে স্বস্তিতে নেই। কোনোমতে শ্রেণিকক্ষে একবার প্রবেশ করলে আর বের হওয়ার সুযোগ থাকে না। এতে তাদের মন খুবই খারাপ থাকে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বাবলি দাস জানান, প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে স্কুল মাঠে পানি জমে যায়। পানি বের হওয়ার কোনো পথ না থাকায় তিন থেকে চার মাসের বেশি সময় মাঠে পানি জমে থাকে। ফলে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তা ছাড়া মাঠে পানি জমে থাকার কারণে শিক্ষার্থীরাও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। কিন্তু একা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। সামনের মিটিংয়ে বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে। ‘
কিউএনবি/আয়শা/১৬.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/৪:৫০