ডেস্কনিউজঃ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের পরে বিজয়ী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কর্যালয়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ, ভাসানী) সাথে সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের একথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আলোচনার মধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য একটি যুগপৎ আন্দোলনের ব্যপারে একমত হয়েছি। আমরা যার যার মতো আন্দোলন শুরু করবো এবং আন্দোলনের ধারা অনুযায়ী পরের অবস্থা তৈরি হবে। আমরা ওই অবস্থা অনুযায়ী আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যে সব রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকবে এবং নির্বাচনে জয়লাভ করবে তাদেরকে নিয়ে নির্বাচনের পরে একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টায় তাদের সাথে আলোচনা করার যে কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করেছি তার অংশ হিসেবে আজ ‘ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ, ভাসানী) সাথে সংলাপ করেছি। আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আমার সাথে ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে এবং বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে যারা ধ্বংস করে ফেলেছে। এই সরকার জনগণের সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার যে পক্রিয়া সেটা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই একটি গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলে এদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আর একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
আজকের সংলাপে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ, ভাসানী) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো: আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/বিপুল/১২.০৬.২০২২/ রাত ১০.৪৮