বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন

২নং শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ফিরোজকে টাকা না দিলে মিলে না ভাতা কার্ড

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৩ মে, ২০২২
  • ২৮১ Time View
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :  রাজশাহী চারঘাট উপজেলার ২নং শলুয়া  ইউনিয়ন পরিষদের, ২নং ওয়ার্ড সদস্য  ফিরোজ  বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগের অন্ত নেই। তারা বলছেন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা এমন কোনো ভাতা নেই যেখান থেকে এই ইউপি সদস্য কমিশন খান না। উপকারভোগীদের ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য ব্যক্তিভেদে ৩-৬ হাজার টাকা করে নেন ফিরোজ। সুবিধাভোগীরা কখনো অগ্রিম টাকা আবার কখনোবা ভাতার টাকার একটি অংশ দিতে বাধ্য হন এই ইউপি সদস্যকে। টাকা না দিলে ফিরোজ  কার্ড করে দেন না বলে অভিযোগ তার এলাকার ভোটারদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউপি সদস্য ফিরোজ  উদ্দিনের হাতে নগদ টাকা তুলে না দিলে উপযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও মিলছে না বয়স্ক, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড। দীর্ঘদিন ধরে অজ্ঞাত কারণে। ইউপি সদস্য ফিরোজ বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড বিতরণে ব্যক্তিভেদে ৩-৬ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভাতাভোগীরা। তার চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে না পারলে ভাতা পাওয়ার উপযোগী হওয়া সত্ত্বেও মেলে না ভাতার কার্ড। 

সম্প্রতি ২নং শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের হলিদাগাছী উওর জায়গীর পাড়া গ্রামে গিয়ে একাধিক ভাতাভোগীদের সঙ্গে কথা বললে এসব অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। নাম প্রকাশেন অনিচ্ছুক একাধিক ভাতাভোগী  অভিযোগ করে বলেন, ভাতাভোগীদের কার্ড করে দেখা  হবে জানিয়ে কিছুদিন আগে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০-৬০ টাকা করে নিয়েছেন  ইউপি সদস্য ফিরোজ। ভুক্তভোগীরা আক্ষেপ করে বলেন, তাদের বয়স্ক ভাতা কার্ড  করে দেওয়ার কথা বলে ৪ হাজার  টাকা নেন ইউপি সদস্য  ফিরোজ । কিন্তু এখনো ভাতার কার্ড পাননি তারা। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৩.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৪৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit