ডেসক্ নিউজ : সালামত হারি রায়া। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রবাসীদের পদচারনায় মূখরিত হয়ে উঠেছে। টানা দুই বছরপর এ যেন বাঙালিদের মিলন মেলা। রাজধানী কুয়ালালামপুরে বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে প্রবাসীরা জড়ো হয়েছেন চিরচেনা কোতারায়া বাংলা মার্কেটে। বাংলা রেস্তোরায়ঁ বসে বন্ধুদের নিয়ে খোশ গল্পে মেতেছেন অনেকে। কেউ বা সওদা কিনছেন। করোনা মহামারিতে এ মার্কেট ছিল নিষ্প্রাণ। ব্যবসায়ীরাও সেসময় কোনো মতে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। টানা দুই বছর পর সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে কোতারায়া বাংলা মার্কেট। ব্যবসায়ীদের মাঝেও ফিরেছে স্বস্তি।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ! এ কথা সবাই মানলেও, প্রবাসীদের জীবনে এর বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন ভিন্নরকম। প্রবাসে অনেকেই আছেন যাদের জন্য ঈদের দিনটাও কষ্টকর। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের প্রত্যাশা আর প্রস্তুতির কমতি থাকে না। একের পর এক ঈদ আসে যায়, প্রবাসীদের ঈদ রয়ে যায় নিঃসঙ্গতায় ভরা। ঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে চোখের কোণে পানি জমে আসে অনেকের।
তবে দীর্ঘদিন ধরে যারা প্রবাসে আছেন তারা খানিকটা হলেও নিজেদের সামলে নিতে পারেন। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন আসলে ভিন্ন রকম অনুভূতির। ঠিক সেই কথাই বলছিলেন অনেকে। ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি, তবে আত্মীয়-স্বজনদের ছেড়ে ঈদ উদযাপন করা সত্যিই কষ্টের। যে প্রবাসীরা রেমিটেন্সের টাকা পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন, তারাই তাদের প্রত্যেকেরই ক্যালেন্ডারের পাতায় বয়েছে উৎসবহীন দিন। কিন্তু তারপরও জীবন থেমে থাকে না। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি দেখেই সব ভুলে যান এই প্রবাসীরা।
কিউএনবি/আয়শা/৩রা মে, ২০২২/১৮ বৈশাখ, ১৪২৯/বিকাল ৫:৫৯