শান্তা ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীদের দিন কাটছে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। আবেদনের প্রায় চার বছরেও সরকারি জায়গা থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর ঝুলে থাকা ঝুঁকিপূর্ন গাছ সরানো হচ্ছে না। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার আটপাড়ার কোনাপাড়া বাজারের ধান মহালের পাশে খালের পাড়ে সরকারি জায়গায় পুরনো একটি আমলি গাছ ২০১৮ সালে ঝড়ের পর হেলে পড়ে। পাশেরই আরও একটি রেইন্টি গাছও হেলে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় আছে ওই গাছটিও। ওই বাজারের ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর লিটন ও ধান ব্যবসায়ী নেকবর আলী ঘরের পাশে গাছ দুটি ঝুলে আছে এবং ঝুঁকিপূর্ন অবস্থার মধ্যে রয়েছে। গাছের গুড়ার মাটি সড়ে গেছে।
ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর লিটন ২০১৮ সালের ৭ মে ঝুঁকিপূর্ন গাছগুলি অপসারণের জন্য আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। ঝড় বৃষ্টি হলে যে কোন সময় ঝুঁকিপূর্ন গাছগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর পড়ে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি প্রাণহাণিও ঘটতে পারে। স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে ঝুঁকিপূর্ন গাছ কেটে অপসারণ করার জন্য ওই সময়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিবেদনও দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ওই বছরের ১২ জুন ঝুঁকিপূর্ন গাছের মূল্য নির্ধারণ করে নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হয়। পরবর্তী সময়ে গত ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর নেত্রকোনা সহকারী বন সংরক্ষকের কার্যালয় থেকেও সরজমিনে পরিদর্শণ করে ঝুঁকিপূর্ন গাছ নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ন গাছ সরানো হচ্ছে। বাজারের ব্যবসায়ীদের দিন কাটছে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে।
ব্যবসায়ী নেকবর আলী বলেন, গাছ দুটি আমাদের ঘরের উপর ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে অনেকদিন ধরে। গত বছর ঝড় বৃষ্টির সময় রেইন্ট্রি গাছের কিছু ডাল ঘরের উপর পড়েছিল। গাছিগুলো কেটে ফেলা উচিত তা না হলে ঝড় বৃষ্টি হলে ডাও গাছ ঘরের উপর পড়তে পারে। ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর লিটন বলেন, খালের পাশে সরকারি জায়গায় ঝুঁকিপূর্ন গাছ অপসারণের জন্য বন বিভাগ, জেলা প্রশাসন থেকে বলা হলেও সরানো হচ্ছে না। আমাদের সময় কাটছে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা সুলতানা বলেন, সরকারি জায়গায় খালের পাশে আমলি গাছ ঘেষে ঘর তৈরী করা হয়েছে। একটু জায়গা রেখে করলে ভাল হত। আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। আবারও পরিদর্শণ করতে যাব। ঝুঁকিপূর্ন গাছ অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/২০শে মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:২৪