রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : রাজশাহী চারঘাট উপজেলার ২নং শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শাহাবুর মাদক সম্রাট থেকে ইউপি সদস্য পরিচয় বদলালেও বদলায়নি তার আসল চরিত্র। স্থানীয় সূত্রে জানাযায় মোঃ আকবর আলীর ছেলে মাদক সম্রাট রাজশাহী চারঘাট উপজেলার ২নং শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সদস্য শাহাবুর এর বিরুদ্ধে , ১১টি মামলা আছে যার মধ্যে ৩৬ হাজার পিছ ইয়াবা, ২৩হাজার ৮শত পিছ ইয়াবা,প্রাইভেট কার সহ, ৫শত পিছ, ইয়াবা,২শত পিছ ফেন্সডিল,তার নিজ বাস ভবন থেকে ৫ হাজার পিছ ফেনসিডিল, পিছ সহ সপরিবারে,২৫ গ্রাম হেরোইন,৪২ হাজার পিছ ইয়াবা মামলাও তার বউকে হত্যা মামলাসহ সর্বমোট ১১টি মামলার চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য শাহাবুর এর মধ্যে ৪টি মামলায় ওয়ারেন্ট আছে পলাতক আসামি ইউপি সদস্য শাহাবুর এর বিরুদ্ধে এরপরেও ধরাছোঁয়ার বাহিনীরে মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য শাহাবুর,
অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, তার নিজ গ্রাম তাতারপুর- কারিগর পাড়া, এবং চারঘাট উপজেলার, সারদা বাজার, ইউসফপুর, চারঘাট বাজার, শলুয়া, বাঘা উপজেলার, বাঘা বাজার, আড়ানী বাজারসহ, রাজশাহী মহানগরব্যাপী একটি মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য শাহাবুর আত্মগর্পণে থাকলেও ওই সিন্ডিকেটের হাতে পুরো নেটওয়ার্কের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে নির্বিঘ্নে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য শাহাবুর
লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ চালাছিলেন জনপ্রতিনিধি মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য শাহাবুর এদিকে তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা একাধিক মাদক মামলার আসামি আত্মসর্পণকারীও অনেকে মাদক ব্যবসায়ী জামিনে বের হয়ে। তারা পুনরায় মাদক পাচার করতে গিয়ে রাজশাহী জেলা, মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাজাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক হয়েছিল মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য শাহাবুর সিন্ডিকেটের সদস্যরা অনেকে কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর তৎপরতা ছাড়া অতীতে যেমন কখনো আটক হয়নি, এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে ছিলেন । মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য শাহাবুর ফলে মাদকের বিস্তার ভয়াবহভাবে বেড়েছিল। নির্বিঘ্নে চলতে থাকা এই মাদক কারবারে কেউ বাঁধা হয়ে দাড়ালে দেশীয় অস্ত্রসহ প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে দেখা যায় বলেও জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা।
একটি সূত্র জানা যায়, মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য শাহাবুর এর রয়েছে দুটি মাদক পাচারকারী দল। তারাই চাপাইনবয়াবগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ফেন্সিডিল, এবং কক্সবাজার এলাকা দিয়ে রাজশাহীতে বিপুল সংখ্যক মাদক প্রবেশ করায়। পরবর্তীতে মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য মাদকগুলো তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পাইকারি ও খুঁচরা ব্যবসায়ীদের হাতে সুকৌশলে পৌঁছে দেন। মাদকগুলো বহন করার কাজে বিলাসী চাহিদা সম্পন্ন উঠতি বয়সী যুবক-যুবতী, বেকারদেরসহ কমপক্ষে শতাধিক লোকজনকে তার এই কাজে সহযোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে ওই পাচারকারী দলের কেউ আটক হলেও বরাবরেই অধরা থেকে যান মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য শাহাবুর
অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য শাহাবুর সিন্ডিকেটের সাথে সরাসরি যুক্ত ও একাধিক মাদক মামলার আসামিদের নাম তারা হলেন মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য শাহাবুর সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন, তাতারপুর গ্রামের মোঃ আকবর আলীর ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামি বাবর-৪০, তাতারপুর গ্রামের মৃত তাহার উদ্দিন বিশ্বাসাসের ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামি আবুল হোসেন -৫০, ৩নং বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের খুঁটিপাড়া গ্রামের মৃত আমরুলের ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামি বাবু-২৫, ২নং শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের কানোজগাড়ী গ্রামের রকি-৩২, কারিগর পাড়া গ্রামের মোঃ জালালের ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামি কালাম ওরফে (মরিজ কালাম)-৩৫, তাতারপুর গ্রামের মৃত নেজমান এর ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামি, হান্টু-২৫,। কিন্তু রবিবার সকালে সিরাজগঞ্জ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে অবশেষে গ্রেফতার হলো আলোচিত মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য শাহাবুর।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ই মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৫১