বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন

শিবপুর হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১বছর ধরে জাল সনদে চাকরি নিয়ে স্বপদে বহাল আছেন শিক্ষিকা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২
  • ১১১ Time View
মোঃ আমজাদ হোসেন রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :শামীম আরা খাতুন। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে বিগত ২০১১ সালে শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদের মাধ্যমে নিয়োগ নেন। নিয়োগের এক বছরের মধ্যে এমপিওভুক্তি হয়।জানা যায়, বিগত ২০১৪ সালের ২০ শে অক্টোবর  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালিন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রাক্তন উপ-পরিচালক আজাদ হোসেন চৌধুরী এবং শিক্ষা পরিদর্শক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান শিবপুর হাট উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করলে (সহকারী শিক্ষক শারীরিক শিক্ষা) শামীম আরা খাতুনের এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন এর সনদ সঠিক না বলে প্রতিবেদন দেন যাহার স্মারক নং ডিআইএ/রাজশাহী/২১৬-এস/রাজঃ১৮৮০/৬ এবং এনটিআরসিএ পত্র প্রেরণ করেন যাহার স্মারক নং ডিআইএ/রাজশাহী/২১৬-এস/রাজঃ ৩০৯৩, তারিখ ২৬/০১/২০১৫ মোতাবেক এনটিআরসিএ তে এবং এনটিআরসিএ এর কর্তৃপক্ষ শামীম আরার নিবন্ধন সনদপত্রটি সঠিক নহে মর্মে তাহার স্মারক নং- বেশিনিক/শি.শি./সনদ যাচাই(সকল)/৪৪৮(অংশ-৩)/২০১৫/৮৮, তারিখঃ ৫/৪/২০১৫ মোতাবেক অবহিত করে। এবং এম.পি.ও ভূক্তির তারিখ থেকে অর্থাৎ ১/১১/২০১২ ইং থেকে ৩১/১২/২০১৪ ইং তারিখ পর্যন্ত ৮,০০০/- টাকার স্কেলে গৃহীত মোট ২,৫৯,৪৯০/- টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরৎ যোগ্য হবে এবং ০১/০১/২০১৫ ইং তারিখ হতে গৃহীত টাকাও ফেরৎযোগ্য হবে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। 

উক্ত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শিবপুর হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ইং তারিখে ৭৭/১৫ নং রেজুলেশনের ৭ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার কর্তৃক উত্তোলিত সরকারী বেতন ফেরৎ এবং বর্তমান বেতন ভাতা বাবদ সরকারী অংশ কেন বন্ধ করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য তাকে কারণ দর্শানোর পর হতে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁর সরকারী বেতন ভাতা উত্তোলন বন্ধ ছিল।জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত ইনডেক্স ১০৬৭৯২৭ (এমপিও) নম্বরধারী হিসেবে তিনি বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। যদিও শামীমাআরা খাতুন দাবি করেছেন, জালিয়াতির বিষয়টি তিনি শিকার করে বলেন  প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। পরিদর্শন করার পর জানতে পারি আমার সনদ টি জাল।
উত্তোলিত টাকা ফেরত দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন পরবর্তীতে আমি সচিব মহোদয়, শিক্ষা মন্ত্রানালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় বরাবর ১৩ জানুয়ারি ১৬ ইং তারিখে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সনদ পুণঃ অর্জনের নিমিত্তে অন্তত ৩ বছর সময় এবং বেতন ভাতা প্রদান চেয়ে আবেদন করি। এতে সহকারী সচিব নুরজাহান বেগম কৃর্তৃক ২১ জানুয়ারি ২০১৬ ইং তারিখে এ প্রেরিত পত্রের প্রেক্ষিতে তারা আমার  বেতন ভাতা দেওয়া জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন সংসিলিস্ট  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জানাযায়, ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন শামীমা আরা খাতুন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০০৯ সালের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জমা দিয়ে এই চাকরি পান। যার রোল নম্বর ৩১৯১৪৪৭৩ , রেজি. নম্বর ৯০০০২৮৫৩/২০০৯। ২০১২ সালের ১ নভেম্বর এমপিওভুক্ত হন। যার ইনডেক্স নম্বর ১০৬৭৯২৭।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আরাবিয়া সুলতানা বলেন, ২০১৪ সালের ২০ শে অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর পরিদর্শন করলে নিবন্ধন সনদ জাল বিষয়টি জানাজানি হলে। জাল  শিক্ষক নিবন্ধন সনদ বিষয়ে রাজশাহী জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করি। কিন্তু এ বিষয়ে এখনোও আলোর মুখ দেখেনি। পূর্বের ইনডেক্সধারী হিসেবে তিনি এখনও বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তিক থেকে    সচিব মহোদয়  পরিদর্শন করার পর জানতে পারি তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল। এনটিআরসিএ এর তদন্ত রিপোর্টে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় রেজুলেশনের মাধ্যমে তার সরকারী বেতন ভাতা বন্ধ করা হয়। কিন্তু মন্ত্রনালয় থেকে সহকারী সচিব এর নির্দেশক্রমে বেতন ভাতা ছাড় এবং দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানালে আমরা তার বেতন ভাতা ছাড়সহ সকল কাজে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখি।

কিউএনবি/অনিমা/৮ই মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ২:৫৭

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit