খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডগ্রীতে লুডুর মাধ্যমে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এক কিশোরকে কুপিয়ে গুরুত্বর আতহ করেছে তার সহ জুয়ারীরা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইয়াছিন নামে এক লুডু জুয়ারী কিশোর জাহিদ চোকদার (১৫) কে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে ডগ্রী শাওড়া গ্রামের মোস্তফা রাড়ির বাড়ি নেয়। সেখানে পরিকল্পিত ভাবে অন্যান্য লুডু জুয়ারীরা জাহিদকে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেছে কিশোর জাহিদের পরিবার। নির্যাতন পরবর্তী আহত কিশোর জাহিদকে আসামী মোস্তফা রাড়ির ঘরে বন্ধি করে রাখে হামলাকারীরা। স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুত্বর আহত জাহিদকে উদ্ধার করে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এই বিষয়ে আহত কিশোর জাহিদের বড় ভাই জাহাঙ্গীর চোকদার আরিফ রাড়িসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে নড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
জাহিদের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভিকটিম জাহিদ নশাসন শাওড়া এলাকার করিম চোকদারের ছেলে। একই এলাকার আসামী আরিফ রাড়ি, ফারুক রাড়ি, শাহিন হাওলাদার, সায়েদ রাড়ি, ইয়াছিন বেপারী, ফজল ওরফে সাগরদের সাথে বাজিতে লুডু খেলত। আসামী ইয়াছিন অপর আসামী শাহিন হাওলাদারের কাছে জুয়া বাজির বকেয়া টাকা পাওনা ছিল এমন ঘটনার সাক্ষি ছিল ভিকটিম জাহিদ। ইয়াছিনের লুডু বাজির পাওনা টাকা পরিশোধ না করে শাহিন ঢাকায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। এই সংবাদ ইয়াছিন জানতে পেরে সাক্ষি জাহিদকে ফোন কলে ডেকে মোস্তফা রাড়ির বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানেই সকল আসামীরা মিলে লুডু জুয়ার সাক্ষি জাহিদকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে যখম করে আসামীরা।
আহত জাহিদের মা ও ভাই জাহাঙ্গীর চোকদার জানায়, আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে জাহিদকে মারার পরে মোস্তফা রাড়ির ঘরে আটকে রাখে। সেখান থেকে জাহিদকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে আসামী পক্ষের প্রভাবশালী লোক টিটু রাড়ি ও আরিফ জাহিদের সাথে হাসপাতালে যায়। হাসপাতালে মারামারির বিষয়টি গোপন রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত জাহিদকে বাড়ি নিয়ে যায় তারা। আহদ জাহিদের আবস্থার অবনতি হলে এক পর্যায়ে জ্ঞান হারায়। পরের দিন পুনরায় জাহিদকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার জাহিদের জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ডাক্তারের পরামর্শে ওই দিনই আহত জাহিদকে তার পরিবার অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে রাত ৩টায় ভর্তি করে। ৬ ঘন্টা ভর্তি থাকার পর সেখান থেকেও প্রভাবশালী আসামীরা চিকিৎসাবিহীন জাহিদকে বের করে দেয়। জাহিদ এখন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেছে আহত জাহিদের পরিবার।
কিউএনবি/আয়শা/১লা মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:৪৭