
সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট সদর উপজেলার খিদিরপুর এলাকার দত্তগ্রামের বাসিন্দা আফতাব মিয়ার পুত্র ওমান ফেরত প্রবাসী মোঃ মুরাদ আহমদ (৫০)কে তার সাবেক স্ত্রী রাবিয়া সুলতানা তাকে হত্যার হুমকী দিয়েছে। এ বিষয়ে শাহপরান রহ. থানায় মুরাদ আহমদ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নং ১৩৯৭, তারিখ- ২৭/০২/২০২২ইং। সাধারণ ডায়েরীতে মুরাদ উল্লেখ করেন, রাবিয়া সুলতানা (৪০) তার সাবেক স্ত্রী। রাবিয়া উচ্ছৃঙ্খল নির্লজ্জ ও বদমেজাজী হিসেবে পরিচিত। সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের দত্তগ্রাম এলাকার মোঃ রমান মিয়া’র মেয়ে রাবিয়া বর্তমানে পরকীয়া সম্পর্কিত সবুজ মিয়া জড়িত। সবুজ মিয়া (৩৮) শাহপরান থানার পীরের বাজারের ইসমাইল ফলোয়ানের ছেলে। সবুজ মিয়া পীরের বাজারে কোয়ালিটি ফুড প্রডাক্টের সেলম্যান হিসেবে কর্মরত।
মুরাদ আহমদ ওমানে কর্মরত থাকাকালে তাদের দু’জনের পরকিয়া সম্পর্কিত অপরাধ জেনে পর পর দু’বার দেশে আসেন। সর্বশেষ তিনি ওমানের ভিসা বাতিল করে দেশে ফিরে রাবিয়া সুলতানাকে পরকিয়া সম্পর্ক থেকে ফিরাতে পারেননি। মুরাদ আহমদ বিদেশ থেকে যে সব টাকা, সম্পদ স্ত্রী রাবিয়াকে দিয়েছিলেন সে সব সম্পদ রাবিয়া আত্মসাৎ করে সবুজ মিয়া ও আতিকুর রহমান বার বার মুরাদকে হুমকী দিয়ে আসছে। অন্যদিকে মুরাদ আহমদকে এলাকা ও ঘরবাড়ি ছাড়া করতে রাবিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে মুরাদকে হত্যার হুমকী দিয়েছে। এই অবস্থায় ২০২১ ইংরেজির ১লা নভেম্বর মুরাদ আহমদ বাদী হয়ে সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে সিআর-৩১৪/২০২১ মামলা রুজু করেন। এই মামলার প্রধান আসামী রাবিয়া সুলতানা, ২। সবুজ মিয়া, ৩। আতিকুর রহমান।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহপরান রহ. থানার পীরের বাজারে মুরাদ আহমদের দোকানে রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি অজ্ঞাত মোটর সাইকেল যোগে সবুজ মিয়া, আতিকুর রহমান সহ অজ্ঞাত আরো একজন ব্যক্তি তাকে হত্যার হুমকী দিয়ে বলেন, আদালত থেকে মামলা তুলে না নিলে, যে কোন সময় তাকে হত্যা করে গুম করে ফেলবে। এ ঘটনায় শাহপরান রহ. থানায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৩৯৭নং সাধারণ ডায়েরী করেন মুরাদ আহমদ।
কিউএনবি/আয়শা/১লা মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:৫১